আল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সালাফিপিডিয়া থেকে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:


[[ইসলাম পূর্ব আরব|ইসলাম-পূর্ব]] সময় থেকে আরবের বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে আসছে।<ref name=":3">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/662410333|শিরোনাম=The Oxford handbook of late antiquity|তারিখ=2012|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|আইএসবিএন=978-0-19-533693-1|oclc=662410333}}</ref> সুনির্দিষ্টভাবে, স্রষ্টা বুঝাতে [[মুসলিম|মুসলিমগণ]] ([[আরব মুসলিম|আরব]] ও অনারব উভয়) ও [[আরব খ্রিষ্টান|আরব খ্রিস্টানগণ]] এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। [[বাহাই ধর্ম|বাহাই]], [[মাল্টা]]বাসী, [[মিজরাহী ইহুদি]] এবং [[শিখ]] সম্প্রদায়ও ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।<ref name="EncMMENA">আধুনিক মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশ্বকোষ, ''আল্লাহ''</ref><ref name="Columbia">[[কলম্বিয়া এনসাইক্লোপিডিয়া]], ''আল্লাহ''</ref> [[পশ্চিম মালয়েশিয়া|পশ্চিম মালয়েশিয়ায়]] [[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্টান]] ও শিখদের ‘আল্লাহ’ শব্দটির ব্যবহার সম্প্রতি রাজনৈতিক ও আইনগত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nzherald.co.nz/world/sikhs-target-of-allah-attack/P4NAYWQ2EFKQTMI5XTPITXL2HI/|শিরোনাম=Sikhs target of 'Allah' attack|ওয়েবসাইট=NZ Herald|ভাষা=en-NZ|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210724191204/https://www.nzherald.co.nz/world/sikhs-target-of-allah-attack/P4NAYWQ2EFKQTMI5XTPITXL2HI/|আর্কাইভের-তারিখ=২০২১-০৭-২৪|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-02|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nzherald.co.nz/world/malaysia-court-rules-non-muslims-cant-use-allah/Q32ZJ6JT5RKAZAOCZKPNRQPFA4/|শিরোনাম=Malaysia court rules non-Muslims can't use 'Allah'|ওয়েবসাইট=NZ Herald|ভাষা=en-NZ|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210724192450/https://www.nzherald.co.nz/world/malaysia-court-rules-non-muslims-cant-use-allah/Q32ZJ6JT5RKAZAOCZKPNRQPFA4/|আর্কাইভের-তারিখ=২০২১-০৭-২৪|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-02|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.reuters.com/article/2014/01/02/us-malaysia-religion-idUSBREA010C120140102|শিরোনাম=Malaysia's Islamic authorities seize Bibles as Allah row deepens|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140116121501/https://www.reuters.com/article/2014/01/02/us-malaysia-religion-idUSBREA010C120140102|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জানুয়ারি ২০১৪|সংগ্রহের-তারিখ=২ মে ২০২১}}</ref>এছাড়াও ভারত এবং বাংলাদেশের সিলেটি হিন্দু, ইয়াহুদী এবং খ্রিস্টানরা অনেক সময় ঈশ্বর বুঝাতে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bible.com/bible/1918/GEN.1.SYLL|শিরোনাম=Tourat 1: Foeda Nama 1 {{!}} sylL বাইবেল {{!}} ইউভার্সন|ভাষা=en}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bible.com/bible/1917/GEN.1.SYLB|শিরোনাম=তৌরাত ১: পয়দা নামা 1 {{!}} sylB Bible {{!}} YouVersion|ভাষা=en}}</ref>
[[ইসলাম পূর্ব আরব|ইসলাম-পূর্ব]] সময় থেকে আরবের বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে আসছে।<ref name=":3">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/662410333|শিরোনাম=The Oxford handbook of late antiquity|তারিখ=2012|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|আইএসবিএন=978-0-19-533693-1|oclc=662410333}}</ref> সুনির্দিষ্টভাবে, স্রষ্টা বুঝাতে [[মুসলিম|মুসলিমগণ]] ([[আরব মুসলিম|আরব]] ও অনারব উভয়) ও [[আরব খ্রিষ্টান|আরব খ্রিস্টানগণ]] এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। [[বাহাই ধর্ম|বাহাই]], [[মাল্টা]]বাসী, [[মিজরাহী ইহুদি]] এবং [[শিখ]] সম্প্রদায়ও ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।<ref name="EncMMENA">আধুনিক মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশ্বকোষ, ''আল্লাহ''</ref><ref name="Columbia">[[কলম্বিয়া এনসাইক্লোপিডিয়া]], ''আল্লাহ''</ref> [[পশ্চিম মালয়েশিয়া|পশ্চিম মালয়েশিয়ায়]] [[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্টান]] ও শিখদের ‘আল্লাহ’ শব্দটির ব্যবহার সম্প্রতি রাজনৈতিক ও আইনগত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nzherald.co.nz/world/sikhs-target-of-allah-attack/P4NAYWQ2EFKQTMI5XTPITXL2HI/|শিরোনাম=Sikhs target of 'Allah' attack|ওয়েবসাইট=NZ Herald|ভাষা=en-NZ|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210724191204/https://www.nzherald.co.nz/world/sikhs-target-of-allah-attack/P4NAYWQ2EFKQTMI5XTPITXL2HI/|আর্কাইভের-তারিখ=২০২১-০৭-২৪|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-02|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nzherald.co.nz/world/malaysia-court-rules-non-muslims-cant-use-allah/Q32ZJ6JT5RKAZAOCZKPNRQPFA4/|শিরোনাম=Malaysia court rules non-Muslims can't use 'Allah'|ওয়েবসাইট=NZ Herald|ভাষা=en-NZ|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210724192450/https://www.nzherald.co.nz/world/malaysia-court-rules-non-muslims-cant-use-allah/Q32ZJ6JT5RKAZAOCZKPNRQPFA4/|আর্কাইভের-তারিখ=২০২১-০৭-২৪|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-02|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.reuters.com/article/2014/01/02/us-malaysia-religion-idUSBREA010C120140102|শিরোনাম=Malaysia's Islamic authorities seize Bibles as Allah row deepens|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140116121501/https://www.reuters.com/article/2014/01/02/us-malaysia-religion-idUSBREA010C120140102|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ জানুয়ারি ২০১৪|সংগ্রহের-তারিখ=২ মে ২০২১}}</ref>এছাড়াও ভারত এবং বাংলাদেশের সিলেটি হিন্দু, ইয়াহুদী এবং খ্রিস্টানরা অনেক সময় ঈশ্বর বুঝাতে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bible.com/bible/1918/GEN.1.SYLL|শিরোনাম=Tourat 1: Foeda Nama 1 {{!}} sylL বাইবেল {{!}} ইউভার্সন|ভাষা=en}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bible.com/bible/1917/GEN.1.SYLB|শিরোনাম=তৌরাত ১: পয়দা নামা 1 {{!}} sylB Bible {{!}} YouVersion|ভাষা=en}}</ref>
== ব্যুৎপত্তি ==
[[চিত্র:আল্লাহ লেখায় আরবি বর্ণানুক্রম.svg|থাম্ব|240px|আরবি ভাষায় লিখিত "আল্লাহ" নামের অংশসমূহ: {{ordered list |[[আলিফ#আরবি|আলিফ]] |[[হামযাতুল ওয়াসল#হামযা|হামযাতুল ওয়াসল]] ({{lang|ar|همزة وصل}}) |[[লাম]] |লাম |[[তাশদিদ]] ({{lang|ar|شدة}}) |[[খাড়া আলিফ]] ({{lang|ar|ألف خنجرية}}) |[[হা]]'}}]]
"আল্লাহ" শব্দটির [[ব্যুৎপত্তি]] নিয়ে ধ্রুপদী আরব ভাষাতত্ত্ববিদগণ ব্যাপক আলোচনা করেছেন।<ref name=":0">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://referenceworks.brillonline.com/entries/encyclopaedia-of-islam-2/*-SIM_3526|শিরোনাম=Ilāh|শেষাংশ=MacDonald|প্রথমাংশ=D. B.|তারিখ=2012-04-24|সাময়িকী=Encyclopaedia of Islam, Second Edition|ভাষা=en|ডিওআই=10.1163/1573-3912_islam_sim_3526}}</ref> বাসরা বিদ্যালয়ের ব্যাকরণবিদগণ এই শব্দটিকে "স্বতঃস্ফূর্তভাবে" গঠিত শব্দ বা "লাহ" (ক্রিয়ামূল "লিহ" থেকে আগত) এর একটি নির্দিষ্ট রূপ হিসেবে বিবেচনা করেন।<ref name=":0"/> অন্যরা ধারণা করেন শব্দটি সিরিয়াক বা [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]] থেকে এসেছে। কিন্তু বেশিরভাগ ভাষাতত্ত্ববিদ আরবি ভাষার নির্দিষ্ট পদাশ্রিত নির্দেশক "আল" ও "ইলাহ" এই দুটি শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপের সমন্বয়ে "আল্লাহ" শব্দটি উদ্ভূত বলে মনে করেন।<ref name=":0"/> আধুনিক পণ্ডিতদের অধিকাংশই এই তত্ত্বটি সমর্থন করেন এবং সিরিয়াক বা হিব্রু থেকে আগত হওয়ার ধারণাটি সন্দেহের সাথে দেখেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1158420266|শিরোনাম=Encyclopaedia of the Qur'an̄ : EQ|তারিখ=2006|প্রকাশক=Brill|অবস্থান=Leiden|অন্যান্য=Jane Dammen McAuliffe|আইএসবিএন=90-04-13668-1|oclc=1158420266}}</ref>
"আল্লাহ" শব্দটির সমজাতীয় (একই মূল বিশিষ্ট) শব্দ [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]] ও [[আরামীয় ভাষা|আরামীয়]] ভাষাসহ অন্যান্য সেমিটিক ভাষায় বিদ্যমান।<ref>Columbia Encyclopaedia says: Derived from an old Semitic root referring to the Divine and used in the Canaanite "El", the Mesopotamian "ilu", and the biblical "Elohim" and "Eloah", the word Allah is used by all Arabic-speaking Muslims, Christians, Jews, and other monotheists.</ref> শব্দটির আরামীয় রূপ হলো "এলাহ" ({{lang|arc|אלה}}), কিন্তু নির্দিষ্ট রূপ "এলাহা" ({{lang|arc|אלהא}})। এটি প্রাচীন আরামীয় ভাষায় "এলাহা" ({{lang|arc|ܐܠܗܐ}}) ও সিরিয়াক ভাষায় "আলাহা" ({{lang|arc|ܐܲܠܵܗܵܐ}}) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যা আসিরীয় খ্রিস্টানগণ ব্যবহার করে। কিন্তু উভয় ভাষাতেই এর অর্থ "স্রষ্টা"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://cal1.cn.huc.edu/|শিরোনাম=The Comprehensive Aramaic Lexicon – Entry for ''ʼlh''|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131018045941/http://cal1.cn.huc.edu/|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ অক্টোবর ২০১৩|সংগ্রহের-তারিখ=৭ মে ২০২১}}</ref> প্রাচীন হিব্রু ভাষায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বহুবচন "এলোহিম" ({{Script/Hebrew|אלהים}}) এবং কদাচিৎ একবচন "এলোয়া" ({{Script/Hebrew|אלוהּ}}) ব্যবহৃত হয়েছে।<ref name="GGS">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.srigranth.org/ |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180930172121/http://www.srigranth.org/ |আর্কাইভের-তারিখ=৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |সংগ্রহের-তারিখ=১২ ডিসেম্বর ২০১৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
== উচ্চারণ ==
‘আল্লাহ’ শব্দের দ্বিতীয় অক্ষর [[লাম]] (ل) কয়েক ভাবে উচ্চারিত হয়। এই শব্দটির পূর্ববর্তী অক্ষরে জবর বা পেশ থাকলে 'লাম' ভাবগম্ভীর স্বরে উচ্চারিত হয়। আবার যদি পূর্ববর্তী অক্ষরে জের থাকে তাহলে 'লাম' হালকা স্বরে উচ্চারিত হয় (যেমন: [[বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম|বিসমিল্লাহ]])।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://arabic-for-nerds.com/pronunciation-allah/|শিরোনাম=How Do You Pronounce Allah Correctly?|ওয়েবসাইট=Arabic For Nerds|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-04}}</ref>
== ব্যবহার ==
=== ইসলাম-পূর্ব আরব ===
‘আল্লাহ’ শব্দের আঞ্চলিক রূপগুলো পৌত্তলিক ও খ্রিস্টান উভয়ের ইসলাম-পূর্ব শিলালিপিতে পাওয়া যায়।<ref name=":3"/> ইসলাম-পূর্ব বহুঈশ্বরবাদী ধর্মগুলোতে আল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসলামি পণ্ডিত [[ইবনে কাসির|ইবনে কাসিরের]] মতে, আরব পৌত্তলিকরা আল্লাহকে অদৃশ্য ঈশ্বর এবং মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিবেচনা করতো।<ref>কুরআনে দেখুন ({{cite quran|13|16|style=nosup|expand=no}}, {{cite quran|29|61–63|style=nosup|expand=no}}, {{cite quran|31|25|style=nosup|expand=no}}, {{cite quran|39|38|style=nosup|expand=no}})</ref> পৌত্তলিকরা বিশ্বাস করতো, যেসব মানুষ বা প্রাণিদের জীবনে সৌভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল, সেইসব মানুষ ও প্রাণিদের উপাসনা করলে, তা তাদেরকে ঈশ্বরের আরও কাছে নিয়ে আসবে। ইসলামে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা করা ([[শির্‌ক]]) সর্বোচ্চ পাপ হিসেবে গণ্য হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books/about/Tafsir_Ibn_Kathir_all_10_volumes.html?id=uTJoiXp3pS4C&redir_esc=y|শিরোনাম=Tafsir Ibn Kathir all 10 volumes|শেষাংশ=|প্রকাশক=IslamKotob|ভাষা=en}}</ref> কিছু লেখক পরামর্শ দিয়েছেন, বহুঈশ্বরবাদী আরবরা সৃষ্টিকর্তা বা তাদের সর্বোচ্চ দেবতাকে বুঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করতো।<ref>"Allah", [[:en:Encyclopaedia of Islam|Encyclopaedia of Islam]], ed. by Sir H.A.R. Gibb.</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/62918343|শিরোনাম=The Qurʼan : an encyclopedia|শেষাংশ=Oliver Leaman|তারিখ=2006|প্রকাশক=Routledge|অবস্থান=London|আইএসবিএন=0-415-32639-7|oclc=62918343}}</ref> কিন্তু একক এবং অদ্বিতীয় ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে নয়। বরং পৃথিবী-সৃষ্টিকারী এবং বৃষ্টি-দানকারী সত্তা হিসেবে। ''আল্লাহ''র প্রকৃত স্বরূপ তাদের ধারণায় খুব পরিষ্কার ছিল না। তাদের ধারণা ছিলো যে, আল্লাহর আরও সঙ্গী-সাথী আছে, যাদেরকে তারা অধীনস্থ দেবতা হিসেবে পূজা করতো। তারা আরও ধারণা করতো যে, আল্লাহর সঙ্গে [[জ্বিন]]জাতির আত্মীয়তা-ধরনের কোনো সম্পর্ক আছে<ref>See Qur'an {{cite quran|37|158|style=nosup|expand=no}})</ref> তারা আল্লাহর পুত্র বলেও সাব্যস্থ করেছিলো <ref>See Qur'an ({{cite quran|6|100|style=nosup|expand=no}})</ref> এবং তৎকালীন আঞ্চলিক দেবতা লা'ত, উজ্জা, মানাতকে তারা আল্লাহর কন্যা সাব্যস্থ করেছিলো <ref>See Qur'an ({{cite quran|53|19–22|style=nosup|expand=no}} ; {{cite quran|16|57|style=nosup|expand=no}} ; {{cite quran|37|149|style=nosup|expand=no}})</ref>।<!-- (নাউযুবিল্লাহ) -->
খুব সম্ভবত, মক্কার আরবরা ''আল্লাহকে'' [[ফেরেশতা|ফেরেশতা বা স্বর্গীয় দূত]] হিসেবে ধারণা করতো।<ref>See Qur'an ({{cite quran|53|26–27|style=nosup|expand=no}})</ref><ref name="GodEoQ"/> যার কারণে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় তারা ''আল্লাহ'' ডাকতো।<ref name="GodEoQ">Gerhard Böwering, ''God and his Attributes'', Encyclopedia of the Qur'an</ref><ref>See Qur'an {{cite quran|6|109|style=nosup|expand=no}}; {{cite quran|10|22|style=nosup|expand=no}}; {{cite quran|16|38|style=nosup|expand=no}}; {{cite quran|29|65|style=nosup|expand=no}})</ref>
এমনকি নিজেদের নামকরণেও তারা ''আব্দুল্লাহ''(অর্থাৎ, আল্লাহর [[বান্দা]] বা গোলাম) শব্দটি ব্যবহার করতো। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদের]] পিতার নাম ছিল {{transl|ar|DIN|ʿAbd-Allāh}}(عبدالله ) ''আব্দুল্লাহ'''<ref name="GodEoQ"/>।
=== ইসলাম ===
{{মূল নিবন্ধ|ইসলামে ঈশ্বরের ধারণা}}
{{আরও দেখুন|আসমাউল হুসনা}}
[[চিত্র:Istanbul, Hagia Sophia, Allah.jpg|থাম্ব|ডান|[[তুরস্ক|তুরস্কের]] [[ইস্তানবুল|ইস্তানবুলের]] [[আয়া সোফিয়া|হাজিয়া সোফিয়ায়]] একটি মেডেলে ‘আল্লাহ’ শব্দটি লিখিত]]
[[চিত্র:Dcp7323-Edirne-Eski Camii Allah.jpg|থাম্ব|ডান|[[তুরস্ক|তুরস্কের]] [[পুরাতন মসজিদ, এডির্ন|পুরাতন মসজিদের]] বাইরে "আল্লাহ" শব্দটি লিখিত]]
{{ইসলাম}}
ইসলামি ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, ‘আল্লাহ’&nbsp;হলো একমাত্র প্রশংসাযোগ্য ও সর্বশক্তিমান সত্তার প্রকৃত নাম<ref name="EoQ">Böwering, Gerhard, ''God and His Attributes'', Encyclopaedia of the Qurʼān, Brill, 2007.</ref> এবং তার ইচ্ছা ও আদেশসমূহের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন ইসলামি ধর্মবিশ্বাসের মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।<ref name="Britannica"/> "তিনিই একমাত্র উপাস্য, সমগ্র মহাবিশ্বের স্রষ্টা এবং মানবজাতির বিচারক।"<ref name="EncMMENA"/><ref name="Britannica">Britannica Concise Encyclopedia, ''Allah''</ref> "তিনি এক ({{lang|ar|ٱلْوَٰحِدُ}}), অদ্বিতীয় ({{lang|ar|ٱلْأَحَد}}), পরম করুণাময় ও সর্বশক্তিমান।"<ref name="Britannica"/> বিচার দিবস পর্যন্ত কোন মানুষের চোখ আল্লাহকে দেখতে পাবে না।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://corpus.quran.com/translation.jsp?chapter=6&verse=103|শিরোনাম=The Quranic Arabic Corpus - Translation|ওয়েবসাইট=corpus.quran.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-06-27}}</ref> ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনে]] আল্লাহ বাস্তব সত্তা, তার গুণাবলি ও বিভিন্ন নাম, তার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক ও আরও অনেক বিষয় বর্ণিত হয়েছে।<ref name="Britannica"/> আল্লাহ কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল নন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://noblequran.com/surah-al-ikhlaas-or-at-tauhid/|শিরোনাম=112. Surah Al-Ikhlaas or At-Tauhid – NobleQuran.com|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2021-06-27}}</ref> এবং খ্রীষ্টীয় ত্রিত্বের অংশ নন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://corpus.quran.com/translation.jsp?chapter=5&verse=73|শিরোনাম=The Quranic Arabic Corpus - Translation|ওয়েবসাইট=corpus.quran.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-06-27}}</ref> আল্লাহর কোন পিতা-মাতা নেই এবং সন্তান নেই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://corpus.quran.com/translation.jsp?chapter=112&verse=3|শিরোনাম=The Quranic Arabic Corpus - Translation|ওয়েবসাইট=corpus.quran.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-06-27}}</ref>
কুরআনের ১১২তম [[সূরা]] [[সূরা ইখলাস|আল-ইখলাসে]] [[তাওহিদ]] অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে:
<blockquote>
:[[আয়াত|۝]]<ref>আরবি লিপি ইউনিকোড। কুরআনের আয়াত নির্দেশক, ইউ+০৬ডিডি, পৃষ্ঠা ৩, [http://www.evertype.com/standards/iso10646/pdf/09419-encode-koranic.pdf প্রতীক অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব]</ref> বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়;
:۝ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী;
:۝ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি;
:۝ এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।<ref>{{কুরআন উদ্ধৃতি|১১২|১|end=৪|style=nosup}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Alkoran of Mohammed|বছর=1887|ইউআরএল=https://archive.org/details/korancommonlycal00sale|শেষাংশ=Sale|প্রথমাংশ=George}}</ref></blockquote>
কুরআনের দীর্ঘতম ও ২য় সূরা [[সূরা আল-বাকারা|আল-বাকারা]]-এর [[আয়াতুল কুরসি|আয়াতুল কুরসিতে]] (২৫৫তম ও শক্তিশালী আয়াত) বর্ণিত হয়েছে:
<blockquote>
:۝ আল্লাহ! তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আকাশ ও ভূমিতে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু তা ব্যতীত - যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর আসন সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।<ref>{{কুরআন উদ্ধৃতি|২|২৫৫|end=|style=nosup}}</ref></blockquote>
মুসলিমগণ ভবিষ্যতের কোনো পরিকল্পিত কাজের ব্যাপারে আলোচনা করলে তার আগে বা পরে আরবি "[[ইনশাআল্লাহ]]’ ({{lang-ar|إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ|lit=যদি আল্লাহ চান}}) বাক্যাংশটি ব্যবহার করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/64685425|শিরোনাম=The Middle East : a cultural psychology|শেষাংশ=Gregg|প্রথমাংশ=Gary S.|তারিখ=2005|প্রকাশক=Oxford University Press|অবস্থান=Oxford|পাতা=৩০|আইএসবিএন=978-0-19-534675-6|oclc=64685425}}</ref> ইসলামি পরিভাষায়, যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বে একজন মুসলিমের "[[বিসমিল্লাহ]]"&nbsp;({{lang-ar|بَسْمَلَة|lit=আল্লাহর নামে (শুরু করছি)}}) বলে শুরু করা উচিত, যাতে সেই কাজটি আল্লাহ পছন্দ করেন এবং তাতে সাহায্য করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/48138827|শিরোনাম=Islamic society in practice|শেষাংশ=Fluehr-Lobban|প্রথমাংশ=Carolyn|তারিখ=1994|প্রকাশক=University Press of Florida|অবস্থান=Gainesville|পাতা=২৪|আইএসবিএন=0-8130-2152-9|oclc=48138827}}</ref> এগুলো ছাড়াও সবসময় আল্লাহকে&nbsp;স্মরণ&nbsp;করার উপায় হিসেবে মুসলিমদের মধ্যে&nbsp;বহুল প্রচলিত আল্লাহর প্রশংসামূলক আরও কিছু বাক্য হলো "সুবহানাল্লাহ" ({{lang-ar|سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ|lit=সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর}}), "[[আলহামদুলিল্লাহ]]" ({{lang-ar|ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ|lit=সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর}}), [[কালেমা#প্রথম কালেমা|প্রথম কালেমা]] "লা~ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুহাম্মাদুর রসুলুল্ল-হ"&nbsp;({{lang-ar|لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ ٱللَّٰهِ‎|lit=আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং [[মুহাম্মাদ]] তার প্রেরিত রাসূল}}) এবং&nbsp;"[[তাকবির|আল্লাহু আকবার]]" ({{lang-ar|ٱللَّٰهُ أَكْبَرُ|lit=আল্লাহ সুমহান}})।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/65201516|শিরোনাম=Encyclopaedia of Islam|শেষাংশ=M. Mukarram Ahmed|প্রথমাংশ=Muzaffar Husain Syed|তারিখ=2005|প্রকাশক=Anmol Publications|অবস্থান=New Delhi|অন্যান্য=|আইএসবিএন=81-261-2339-7|oclc=65201516}}</ref>
[[সুফি]]&nbsp;সাধকদের মধ্যে একটি বহুল-প্রচলিত সাধনা হলো আল্লাহর [[যিকর]] ({{lang-ar|ذكر الله|lit=আল্লাহর স্মরণ}}) যেখানে সুফিরা&nbsp;নিজেদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে মনোযোগ সহকারে&nbsp;‘আল্লাহ’&nbsp;শব্দ অথবা আল্লাহর কোনো গুণবাচক নাম একাধারে অজস্রবার পাঠ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/title/sufi-martyrs-of-love-chishti-sufism-in-south-asia-and-beyond/oclc/50228555|শিরোনাম=Sufi martyrs of love: Chishti Sufism in South Asia and beyond|শেষাংশ=Ernst|প্রথমাংশ=Carl W|শেষাংশ২=Lawrence|প্রথমাংশ২=Bruce B|তারিখ=2002|প্রকাশক=Palgrave Macmillan|অবস্থান=New York|পাতা=২৯|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-1-4039-6026-9|oclc=50228555}}</ref>
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, "[[কুরআন|আল-কুরআন]] জোরালোভাবে ঘোষণা করেছে, মুসলিমরা বিশ্বাস করে, এবং ঐতিহাসিকরা নিশ্চিত করেছেন যে, [[মুহাম্মাদ]] এবং তাঁর অনুসারীরা সেই একই উপাসনা করতেন, যার উপাসনা [[ইহুদি|ইহুদিরা]] করতো ({{cite quran|29|46|style=nosup|expand=no}})। এবং [[কুরআন|কুরআনের]] ''আল্লাহ'' এবং [[ইব্রাহিম|ইব্রাহিমের]] ''আল্লাহ'' এক এবং অভিন্ন"।<ref name="Peters1">F.E. Peters, ''Islam'', p.4, Princeton University Press, 2003</ref>
==== ইসলামে কুরআনীয় শব্দ হিসেবে গুরুত্ব ====
কিছু মুসলিম আলেম মূল ইসলামী আরবি শব্দ "আল্লাহ" (ﷲ)-এর ব্যবহারকে অধিক উৎসাহিত করে থাকেন, যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, আল্লাহ শব্দটি কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই শব্দটি বলার সময় প্রতি হরফে দশ নেকি করে ৪ হরফে মোট ৪০ নেকি [[সাওয়াব]] পাওয়া যাবে, যা [[খোদা]] বা অন্যান্য অ-কুরআনীয় প্রতিশব্দ উচ্চারণে পাওয়া যাবে না। কুরআনীয় শব্দ বলায় প্রতি হরফে দশ নেকির ক্ষেত্রে তারা ইসলামি নবি [[মুহাম্মদ|মুহাম্মাদ]]ের উক্ত হাদিসটি পেশ করেন,
{{quote|রাসূল (সা.) বলেছেন,
مَنْ ‌قَرَأَ ‌حَرْفًا ‌مِنْ ‌كِتَابِ ‌اللَّهِ ‌فَلَهُ ‌بِهِ ‌حَسَنَةٌ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ
‘আল্লাহ তাআলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সওয়াব আছে। আর সওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।’| [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৯১০]}}
==== ইসলামি মতে আল্লাহর অন্যান্য নাম ও বৈশিষ্ট্য ====
{{মূল নিবন্ধ|আল্লাহর ৯৯ টি নাম}}
[[কুরআন]] ও [[হাদিস]] অনুযায়ী, আল্লাহর অনেকগুলো গুণবাচক নাম রয়েছে যেগুলোকে একত্রে&nbsp;[[আসমাউল হুসনা]]&nbsp;({{lang-ar|الأسماء الحسنى|lit=সুন্দরতম নামসমূহ}}) বলা হয়। তন্মধ্যে, একটি প্রসিদ্ধ হাদিস অনুযায়ী, [[আল্লাহর ৯৯টি নাম]] আছে এবং নামগুলোর প্রত্যেকটির মাধ্যমে আল্লাহর একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/41991457|শিরোনাম=The 99 beautiful names of God for all the people of the book|শেষাংশ=Bentley|প্রথমাংশ=David|তারিখ=1999|প্রকাশক=William Carey Library|অবস্থান=Pasadena, Calif.|আইএসবিএন=0-87808-299-9|oclc=41991457}}</ref><ref>Encyclopedia of the Modern Middle East and North Africa, Allah</ref> আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত নামসমূহ হলো:
# আর-রহমান ({{lang-ar|ٱلْرَّحْمَـٰنُ|lit=করুণাময়}})
# আর-রহিম ({{lang-ar|ٱلْرَّحِيْمُ|lit=পরম দয়ালু}})
# আল-গফুর ({{lang-ar|ٱلْغَفُورُ|lit=অতি ক্ষমাশীল}})
# আল-আহাদ ({{lang-ar|ٱلْأَحَد|lit=এক}})
# আল-ওয়াহিদ ({{lang-ar|ٱلْوَٰحِدُ|lit=অনন্য, একক}})<ref name=":1"/>
একটি হাদিসে আল্লাহর নাম সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে:
{{উক্তি|[[আবু হুরাইরা|আবু হুরাইরা (রা.)]] কর্তৃক বর্ণিত:<br>[[মুহাম্মাদ|নবি (সা.)]] বলেছেন, আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি নাম আছে অর্থাৎ এক কম এক শত। যে লোক এই নামসমূহ মুখস্থ করবে বা পড়বে সে [[জান্নাত|জান্নাতে]] প্রবেশ করবে।|[[জামি আত-তিরমিজি]], হাদিস নং- ৩৫০৬<ref>{{ihadis|t|3506}}</ref>}}
ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:<ref>[[Hossein Nasr]] The Heart of Islam, Enduring Values for Humanity (April., 2003), pp 3, 39, 85, 27–272</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://quran.com/35/1 |শিরোনাম=The Noble Qur'an - القرآن الكريم |ওয়েবসাইট=quran.com |সংগ্রহের-তারিখ=2015-09-25}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://aboutislam.net/counseling/ask-about-islam/allah-says-mercy-prevails-wrath= |শিরোনাম=My Mercy Prevails Over My Wrath |ওয়েবসাইট=www.onislam.net |সংগ্রহের-তারিখ=2015-10-04}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://quran.com/10/61 |শিরোনাম=Surah Yunus - The Noble Qur'an - القرآن الكريم |ওয়েবসাইট=quran.com}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.al-islam.org/allah-the-concept-of-god-in-islam-a-selection-yasin-al-jibouri/ninety-nine-attributes-allah |শিরোনাম=The Ninety Nine Attributes of Allah |ওয়েবসাইট=al-islam.org |সংগ্রহের-তারিখ=2016-05-31}}</ref>
* আল্লাহর কোন অংশীদার নেই, কোন সমকক্ষ নেই এবং কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই;
* তার কোন সন্তান বা স্ত্রী নেই এবং তিনি কারও সন্তান নন;
* তার উপাসনা অথবা সহায়তা প্রার্থনার জন্যে কাউকে বা কিছুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন নাই;
* তার কাউকে উপাসনার প্রয়োজন হয় না;
* তিনি সার্বভৌম অর্থাৎ কারো নিকট জবাবদিহি করেন না;
* তিনি কোন ব্যক্তি বা জিনিসের উপর নির্ভরশীল নন, বরং সকলকিছু তার উপর নির্ভরশীল;
* তিনি কারো সহায়তা ছাড়াই সবকিছু সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন;
* কোনো কিছুই তার উপরে বা সঙ্গে তুলনীয় নয়;
* বিদ্যমান কোনো কিছুই সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর পরাধীন নয়;
* কেউ প্রতিরোধ করতে পারেন না, যা আল্লাহ প্রদান করে, আর কেউ প্রদান করতে পারেনা যা তিনি প্রতিরোধ করে;
* শুধুমাত্র আল্লাহই কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে, এই ক্ষমতা অন্য কেউ রাখে না;
* তার কোনও অভাব নেই, তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন;
* নিদ্রা, তন্দ্রা ও ক্লান্তি আল্লাহকে স্পর্শ করে না;
* তাঁর আকার তাঁর মতোই, যা কেউ কল্পনা করতে পারেনা;<ref>https://www.islamfactcheck.in/does-allah-have-shape/</ref>
* তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান ও পবিত্র;
* তার অনুরূপ কেউ নেই
=== খ্রিস্টধর্ম ===
[[আসিরীয়]] [[খ্রিস্টান]]দের ভাষায়, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার জন্য [[আরামাইক]] শব্দ হলো ''{{Unicode|ʼĔlāhā}}'', বা ''[[:en:Alaha]]''। খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা সহ [[ইব্রাহিমীয় ধর্ম|আব্রাহামীয়]] সকল ধর্মের [[আরবি]]-ভাষী লোকই, ''ঈশ্বর''কে বুঝাতে ''আল্লাহ'' শব্দ ব্যবহার করে থাকে।<ref name="Columbia" /> বর্তমান যুগের আরবি-ভাষী খ্রিস্টানদের ব্যবহারের জন্য ঈশ্বরকে ইঙ্গিত করতে ''আল্লাহ'' ব্যতীত উপযোগী অন্য কোনো শব্দই নেই। (এমনকি আরবি-বংশোদ্ভূত [[মাল্টা|মাল্টাবাসী]], যাদের অধিকাংশই [[রোমান ক্যাথলিক]], ঈশ্বরকে বুঝাতে ''Alla''(আল্লা) শব্দ ব্যবহার করে)। তবে [[আরব খ্রিষ্টান|আরবীয় খ্রিষ্টান]]রা অনেক সময়ই তাদের [[ত্রিত্ববাদ]] অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বুঝাতে ''{{transl|ar|DIN|Allāh al-ʾab}}'' ({{lang|ar|الله الأب}}) অর্থাৎ, ''পিতা ঈশ্বর'', [[ঈসা]] বা [[:en:Jesas|জিসাস]]কে বুঝাতে ''{{transl|ar|DIN|Allāh al-ibn}}'' ({{lang|ar|الله الابن}}) অর্থাৎ, ''পুত্র ঈশ্বর, এবং ''[[জিবরাঈল]]'' বা ''গেব্রিল''কে বুঝাতে{{transl|ar|DIN|Allāh ar-rūḥ al-quds}}'' ({{lang|ar|الله الروح القدس}}) অর্থাৎ,''পবিত্র আত্মা'' কথাগুলো ব্যবহার করে। (খ্রিস্টান ধর্ম-বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বরের ধারণার বিস্তারিতের জন্য দেখুন [[খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বরের ধারণা]])।
লেখার সময় [[আরব খ্রিষ্টান|আরবীয় খ্রিষ্টান]]দের মধ্যে দুই ধরনের প্রচলন পাওয়া যায়, [[মুসলিম]]দের থেকে গৃহীত ''বিসমিল্লাহ'' এবং অষ্টম-শতক থেকে নিজেদের [[ত্রিত্ববাদ|ত্রিত্ববাদই]] ধারণার ''বিসমিল্লাহ<ref name="Thomas"/>। মুসলিমদের থেকে গৃহীত ''বিসমিল্লাহ''র অর্থ করা হয়, ''আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু এবং অতিশয় মেহেরবান''। অপরপক্ষে, ত্রিত্ববাদই ''বিসমিল্লাহ''র অর্থ করা হয়, ''এক ঈশ্বরের নামে যিনি পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা''। তবে [[সিরিয়ান|সিরীয়]], [[ল্যাটিন]] বা [[গ্রিক]] প্রার্থনার মধ্যে ''এক'' কথাটি যুক্ত করা হয় না। এই ''এক'' কথাটি যুক্ত করা হয় ত্রিত্ববাদের ''এক ঈশ্বর'' ধারণাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং কিছুটা মুসলিমদের নিকট গ্রহণযোগ্য রূপ দেয়ার জন্য<ref name="Thomas">Thomas E. Burman, ''Religious Polemic and the Intellectual History of the Mozarabs'', [[Brill Publishers|Brill]], 1994, p.103</ref>।''
কারো মতে, [[ইসলাম-পূর্ব আরব]]-এ কিছু কিছু [[আরব খ্রিষ্টান|আরবীয় খ্রিষ্টান]] সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ''আল্লাহ''র সম্মানে [[কাবা]]য় যেত, তবে তৎকালীন কাবা ছিলো মূর্তি পূজারীদের প্রার্থনাস্থল।<ref>Marshall G. S. Hodgson, ''The Venture of Islam: Conscience and History in a World Civilization'', [[University of Chicago Press]], p.156</ref>
=== ইহুদি ধর্ম ===
{{মূল নিবন্ধ|ইহুদীধর্মে ঈশ্বরের নামসমূহ}}
যেহেতু [[আরবি]] এবং [[হিব্রু]] খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত [[সেমিটিক]] ভাষা, এটি বহুল প্রচলিত মতামত যে, ''আল্লাহ''(আরবি শব্দমূল: ''ইলাহ'') এবং বাইবেলে বর্ণিত ''ইলোহিম'' এর আদিশব্দ একই। ইহুদি ধর্মগ্রন্থে, ''ইলোহিম'' শব্দকে ঈশ্বরের (ইহুদি মতানুযায়ী যাকে ''ইয়াওহে'' বা ''জেহোবা'' বলা হয়) একটি বর্ণনামূলক নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার একই সাথে শব্দটিকে সময়ের বিবর্তনে এক সময়ে পৌত্তলিকদের দেবতাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে।
== অন্যান্য ভাষায় ব্যবহার ==
=== ইংরেজি ও অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষায় ===
[[ইংরেজি]] ভাষায় ‘আল্লাহ’ শব্দের ইতিহাস সম্ভবত ঊনবিংশ শতাব্দীতে [[তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব]] দ্বারা প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, [[টমাস কার্লাইল]] (১৮৪০) কখনও কখনও আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করতেন, কিন্তু তিনি বুঝাননি যে আল্লাহ ঈশ্বরের থেকে আলাদা কেউ ছিলেন। তবে টর আন্দ্রে তার রচিত [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদের]] জীবনীতে (১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত) সর্বদা 'আল্লাহ' শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যদিও তার বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মুহাম্মাদের বর্ণিত&nbsp;আল্লাহ&nbsp;ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বর্ণিত ঈশ্বরের থেকে ভিন্ন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/9575592|শিরোনাম=Islam and Christianity today : a contribution to dialogue|শেষাংশ=Watt|প্রথমাংশ=W. Montgomery|তারিখ=1983|প্রকাশক=Routledge & K. Paul|অবস্থান=London|পাতা=৪৫|আইএসবিএন=0-7100-9766-2|oclc=9575592}}</ref>
কিছু ভাষা আছে যেগুলোতে ঈশ্বরকে বুঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু কিছু প্রচলিত শব্দের মধ্যে তা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, [[আন্দালুস|আন্দালুসে]] শতাব্দীব্যাপী [[মুসলিম]] উপস্থিতির কারণে বর্তমানে [[স্প্যানিশ ভাষা]]য় "ojalá" ({{translation|'আশা করি'}}) এবং [[পর্তুগীজ ভাষা|পর্তুগিজ ভাষা]]য় "oxalá" ({{translation|'আশা করি'}}) শব্দগুলো পাওয়া যায়, যেগুলো মূলত&nbsp;আরবি "[[ইনশাআল্লাহ]]" ({{lang-ar|إن شاء الله}}) বাক্যাংশটি থেকে উদ্ভূত। এই আরবি বাক্যাংশের আক্ষরিক অর্থ&nbsp;"যদি আল্লাহ চান"&nbsp;(অনেকটাই&nbsp;"আশা করি"&nbsp;বুঝায়)।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/24429815|শিরোনাম=Islam in Spanish literature : from the Middle Ages to the present|শেষাংশ=López Baralt|প্রথমাংশ=Luce|তারিখ=1992|প্রকাশক=Brill|অবস্থান=Leiden|পাতা=২৫|পাতাসমূহ=|অন্যান্য=|আইএসবিএন=90-04-09460-1|oclc=24429815}}</ref>
জার্মান কবি সিগফ্রিড মাহলমান সর্বময় কর্তৃত্বসম্পন্ন সত্তা সম্পর্কে লেখা কবিতার শিরোনাম হিসেবে 'আল্লাহ' শব্দটি ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তিনি কতটুকু ইসলামি চিন্তা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। মুসলিমরা সাধারণত [[ইংরেজি]]তে 'আল্লাহ' শব্দটিকে সরাসরি ব্যবহার করে থাকেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/title/monotheists-jews-christians-and-muslims-in-conflict-and-competition/oclc/50960846|শিরোনাম=The monotheists: Jews, Christians, and Muslims in conflict and competition|শেষাংশ=Peters|প্রথমাংশ=F. E|তারিখ=2003|প্রকাশক=Princeton University Press|অবস্থান=Princeton, N.J.|পাতা=১২|ভাষা=English|আইএসবিএন=978-0-691-11460-6|oclc=50960846}}</ref>
=== মালয়েশীয় ও ইন্দোনেশীয় ভাষায় ===
[[চিত্র:Vocabularium, ofte Woordenboek, in 't Duytsch en Maleys (IA vocabulariumoft00dancgoog).djvu|page=78|থাম্ব|বাম|১৬৫০ সালে এ.সি. রুয়েল, জাস্টাস হিউরনিয়াস ও ক্যাসপার উইলটেনসের প্রথম ওলন্দাজ-মালয় [[অভিধান|অভিধানে]] ওলন্দাজ শব্দ "গডট" এর অনুবাদ হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটি লিপিবদ্ধ করা হয়।]]
[[চিত্র:GKKA Banjarmasin.jpg|থাম্ব|[[ইন্দোনেশিয়া]]র "ওয়ার্ড অফ গড রিভাইভাল চার্চ" ({{lang-id|Gereja Kalam Kebangunan Allah}})। ইন্দোনেশীয় ভাষায় এবং [[বাইবেল|খ্রিস্টানদের বাইবেলের]] অনুবাদে "ঈশ্বর" বুঝাতে 'আল্লাহ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যেখানে "তুহান" শব্দটি দ্বারা "প্রভু" বুঝায়।]]
[[মালয়েশিয়া]] ও [[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়ার]] খ্রিস্টানগণ মালয়েশীয় ও ইন্দোনেশীয় ভাষায় ঈশ্বরকে বোঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করে (ভাষা দুটি মালয় ভাষার প্রমিত রূপ)। এই দুই ভাষায় প্রচলিত বাইবেল অনুবাদগুলোতে [[হিব্রু ভাষা|হিব্রু]] ‘এলোহিম’ শব্দের অনুবাদ হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহৃত হয় (ইংরেজি বাইবেলে "গড" হিসেবে অনুবাদ করা হয়)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://alkitab.sabda.org/verse.php?book=Mat&chapter=22&verse=32&search=allah&scope=all&exact=off|শিরোনাম=Usage of the word "Allah" from Matthew 22:32 in Indonesian bible versions (parallel view) as old as 1733|ওয়েবসাইট=alkitab.sabda.org|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131019125828/http://alkitab.sabda.org/verse.php?book=Mat&chapter=22&verse=32&search=allah&scope=all&exact=off|আর্কাইভের-তারিখ=2013-10-19|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-12}}</ref> এই শব্দটি ষোড়শ শতাব্দীতে ফ্রান্সিস জেভিয়ারের প্রাথমিক অনুবাদ থেকে বিদ্যমান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/54106302|শিরোনাম=The Indonesian language : its history and role in modern society|শেষাংশ=Sneddon|প্রথমাংশ=James N.|তারিখ=2003|প্রকাশক=University of New South Wales Press|অবস্থান=Sydney|আইএসবিএন=0-86840-598-1|oclc=54106302}}</ref> ১৬৫০ সালে আলবার্ট কর্নেলিয়াস রুয়েল, জাস্টাস হিউরনিয়াস এবং ক্যাসপার উইলটেনস কর্তৃক প্রথম ওলন্দাজ-মালয় অভিধানে (১৬২৩ সংস্করণ ও ১৬৩১ ল্যাটিন সংস্করণ থেকে সংশোধিত সংস্করণ) [[ওলন্দাজ ভাষা|ওলন্দাজ]] শব্দ "গডট" এর অনুবাদ হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটি লিপিবদ্ধ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=3GcTAAAAQAAJ&q=allah|শিরোনাম=Vocabularium, ofte, Woorden-Boeck, nae ordre van den alphabeth, in't Duytsch en Maleys|শেষাংশ=Wiltens|প্রথমাংশ=Caspar|শেষাংশ২=Heurnius|প্রথমাংশ২=Justus|তারিখ=1650|প্রকাশক=ghedruckt door ordre van de E.E. heeren bewinthehebberen der Geoctroyeerde Oost-Indische Compagnie|ভাষা=nl|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131022172808/https://books.google.com/books?id=3GcTAAAAQAAJ&v=onepage&q=allah&f=false|আর্কাইভের-তারিখ=2013-10-22}}</ref> রুয়েল ১৬১২ সালে মালয় ভাষায় [[মথি লিখিত সুসমাচার|মথির সুসমাচার]] অনুবাদ করেন (অ-ইউরোপীয় ভাষায় বাইবেলের প্রাথমিক অনুবাদ,<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=DtIRbpUNp_oC|শিরোনাম=Ethiopia|শেষাংশ=Milkias|প্রথমাংশ=Paulos|তারিখ=2011|প্রকাশক=ABC-CLIO|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-1-59884-257-9}}</ref> রাজা জেমস সংস্করণ প্রকাশের এক বছর পরে তৈরি<ref>Barton, John (2002–12). The Biblical World. Oxford, UK: Routledge. {{ISBN|978-0-415-27574-3}}.</ref>), যা ১৬২৯ সালে নেদারল্যান্ডে মুদ্রিত হয়। এরপর তিনি [[সাধু মার্ক লিখিত সুসমাচার|মার্কের সুসমাচার]] অনুবাদ করেন যা ১৬৩৮ সালে প্রকাশিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sejarah.sabda.org/sejarah/bio_ruyl.htm|শিরোনাম=Sejarah Alkitab Indonesia / Albert Conelisz Ruyl|ওয়েবসাইট=sejarah.sabda.org|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-22}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.britannica.com/biography/Albert-Cornelius-Ruyl|শিরোনাম=Encyclopædia Britannica: Albert Cornelius Ruyl|ওয়েবসাইট=Encyclopedia Britannica|ভাষা=en|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131019171117/http://www.britannica.com/EBchecked/topic/514364/Albert-Cornelius-Ruyl|আর্কাইভের-তারিখ=১৯ অক্টোবর ২০১৩|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-22}}</ref>
২০০৭ সালে মালয়েশিয়ার সরকার [[মুসলিম]] ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে "আল্লাহ" শব্দটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে, কিন্তু ২০০৯ সালে মালয়ান হাইকোর্ট আইনটি বাতিল করে এবং এটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়। চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মালয় ভাষায় খ্রিস্টানদের ঈশ্বরকে বুঝাতে ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহৃত হলেও রোমান ক্যাথলিক সংবাদপত্র "দ্য হেরাল্ড" এই শব্দটি ব্যবহার করায় সমসাময়িক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সরকার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট রায় বাস্তবায়ন স্থগিত করে। ২০১৩ সালে অক্টোবর মাসে আদালত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পক্ষে রায় দেয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.csmonitor.com/World/Asia-Pacific/2013/1014/No-more-Allah-for-Christians-Malaysian-court-says|শিরোনাম=No more 'Allah' for Christians, Malaysian court says|তারিখ=2013-10-14|কর্ম=Christian Science Monitor|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-16|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210716191439/https://www.csmonitor.com/World/Asia-Pacific/2013/1014/No-more-Allah-for-Christians-Malaysian-court-says|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জুলাই ২০২১|issn=0882-7729}}</ref> ২০১৪ সালের শুরুতে মালয়েশিয়ার সরকার ৩০০টিরও বেশি বাইবেল বাজেয়াপ্ত করে যেগুলোতে উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়ায় খ্রিস্টানদের ঈশ্বরকে বুঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিলো।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/news/world-asia-25578348|শিরোনাম=More than 300 Bibles are confiscated in Malaysia|তারিখ=2014-01-02|কর্ম=BBC News|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-22|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140125052310/http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-25578348|আর্কাইভের-তারিখ=২৫ জানুয়ারি ২০১৪|ভাষা=en-GB}}</ref> তবে মালয়েশিয়ার দুই রাজ্য সাবাহ ও [[সারাওয়াক]]-এ "আল্লাহ" শব্দটির ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়।<ref name=":2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.dailyexpress.com.my/news.cfm?NewsID=87900|শিরোনাম=Catholic priest should respect court: Mahathir|ওয়েবসাইট=Daily Express|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140110085352/http://www.dailyexpress.com.my/news.cfm?NewsID=87900|আর্কাইভের-তারিখ=১০ জানুয়ারি ২০১৪|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-22}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theborneopost.com/2014/03/29/worship-without-hindrance/|শিরোনাম=Worship without hindrance|ওয়েবসাইট=Borneo Post Online|ভাষা=en-US|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140329094134/http://www.theborneopost.com/2014/03/29/worship-without-hindrance/|আর্কাইভের-তারিখ=২৯ মার্চ ২০১৪|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-22}}</ref> এর প্রধান কারণ শব্দটির ব্যবহার দীর্ঘকাল ধরে প্রতিষ্ঠিত এবং স্থানীয় বাইবেল [[পূর্ব মালয়েশিয়া|পূর্ব মালয়েশিয়ায়]] বছরের পর বছর ধরে বিনা নিষেধাজ্ঞায় বিতরণ করা হয়েছে।<ref name=":2"/> এছাড়া উভয় রাজ্যেই [[পশ্চিম মালয়েশিয়া|পশ্চিম মালয়েশিয়ার]] মতো একই ইসলামি রাষ্ট্রীয় আইন নেই।<ref name=":4">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thestar.com.my/Business/Business-News/2014/02/24/My-take-on-the-Allah-issue-10point-solution-is-key-to-managing-the-polarity/|শিরোনাম=The 'Allah'/Bible issue, 10-point solution is key to managing the polarity|ওয়েবসাইট=www.thestar.com.my|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210724192654/https://www.thestar.com.my/Business/Business-News/2014/02/24/My-take-on-the-Allah-issue-10point-solution-is-key-to-managing-the-polarity/|আর্কাইভের-তারিখ=২০২১-০৭-২৪|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর|সংগ্রহের-তারিখ=2021-05-02}}</ref>
কিছু প্রচার মাধ্যমের সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় মালয়েশিয়া সরকার বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এড়াতে একটি "১০ দফা সমাধান" চালু করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://aliran.com/web-specials/bahasa-malaysia-bibles-10-point-solution/|শিরোনাম=Bahasa Malaysia Bibles: The Cabinet's 10-point solution|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=2014-01-25|ওয়েবসাইট=Aliran|ভাষা=en-GB|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210807185053/https://m.aliran.com/web-specials/bahasa-malaysia-bibles-10-point-solution/|আর্কাইভের-তারিখ=২০২১-০৮-০৭|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-07|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> এই ১০ দফা সমাধান সারাওয়াক ও সাবাহের ১৮ ও ২০ দফা চুক্তির মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।<ref name=":4"/>
== আল্লাহ শব্দটি লিখিত বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা ==
<gallery>
File:Flag of Iraq.svg|[[ইরাকের জাতীয় পতাকা]] যেখানে "'''[[তাকবির|আল্লাহু আকবার]]'''" (আল্লাহ মহান) লেখা আছে
File:Flag of Saudi Arabia.svg|[[সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা]] যেখানে [[শাহাদাহ্‌|শাহাদাহ্]] লেখা আছে।
File:Flag of Afghanistan.svg|[[আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা]] যেখানে [[শাহাদাহ্‌|শাহাদাহ্]] ও [[তাকবির]] লেখা আছে
File:Flag of Iran.svg|[[ইরানের জাতীয় পতাকা]] যেখানে আল্লাহ শব্দটি লেখা আছে
File:"Allah" in Arabic script from stars on flag of Uzbekistan.gif|[[উজবেকিস্তানের জাতীয় পতাকা|উজবেকিস্তানের জাতীয় পতাকার]] ১২ টি তারকা আরবি অক্ষরে আল্লাহ শব্দটি নির্দেশ করে
</gallery>
== মুদ্রণবিদ্যা ==
[[চিত্র:Allah name in different languages.png|280px|থাম্ব|আল্লাহ শব্দের বিভিন্ন ভাষার প্রতিবর্ণীকরণ]]
{{Expand section}}
=== ইউনিকোড ===
[[ইউনিকোড|ইউনিকোডে]] আরবি "আল্লাহ" শব্দের জন্য একটি বিশেষ কোড, {{lang|ar|ﷲ}} = U+FDF2, সংরক্ষিত আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.unicode.org/faq/middleeast.html#5 |শিরোনাম=FAQ - Middle East Scripts |ওয়েবসাইট=www.unicode.org |সংগ্রহের-তারিখ=2021-03-31}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.unicode.org/charts/PDF/UFB50.pdf |শিরোনাম=''Unicode Standard 5.0'' |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140428184606/http://unicode.org/charts/PDF/UFB50.pdf |আর্কাইভের-তারিখ=২৮ এপ্রিল ২০১৪ |সংগ্রহের-তারিখ=৩০ মার্চ ২০২১}}</ref> অনেক আরবি ফন্টেও {{lang|ar|ﷲ}} শব্দটিকে একটি অখণ্ড অক্ষর হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে।<ref name="Typ1">{{Cite web|url=http://www.smi.uib.no/ksv/ArabicFonts.html|title=Arabic fonts and Mac OS X|সংগ্রহের-তারিখ=২০ মে ২০১২|আর্কাইভের-তারিখ=১০ মার্চ ২০০৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080310022047/http://www.smi.uib.no/ksv/ArabicFonts.html|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref><ref>{{Cite web|url=http://www.smi.uib.no/ksv/ArabicProgsx.html|title=Programs for Arabic in Mac OS X|সংগ্রহের-তারিখ=২০ মে ২০১২|আর্কাইভের-তারিখ=৬ অক্টোবর ২০১৩|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131006005022/http://www.smi.uib.no/ksv/ArabicProgsx.html|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref>
[[ইরান|ইরানের]] জাতীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত আল্লাহ শব্দের ক্যালিগ্রাফিক রূপটি ইউনিকোডে বিভিন্ন প্রতীকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যার কোড U+262B (☫)।
== আরও দেখুন ==
{{প্রবেশদ্বার|আল্লাহ}}
* [[আকীদা]]
* [[ঈশ্বর]]
* [[আসমাউল হুসনা]]
* [[বিশ্বাস]] ([[তাওহীদ]])
* [[যিকর]]
* [[ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ]]
* [[কাবা]]
* [[রাসূল]]
* [[নবী]]
* [[ইসলামের নবি ও রাসুল]]
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|30em}}
{{সূত্র তালিকা}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{Wiktionary|আল্লাহ}}
{{wikiquote|Allah|আল্লাহ}}
{{Commons and category|Allah|আল্লাহ}}
* [http://www.searchtruth.com/Allah/99Names.php Names of Allah with Meaning on Website, Flash, and Mobile Phone Software]
* [http://www.sultan.org/articles/god.html Concept of God (Allah) in Islam]
* [http://www.islam-info.ch/en/Who_is_Allah.htm The Concept of Allāh According to the Qur'an] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190421081921/http://www.islam-info.ch/en/Who_is_Allah.htm |তারিখ=২১ এপ্রিল ২০১৯ }} by Abdul Mannan Omar
* [http://www.muslim.org/islam/allah.htm Allah, the Unique Name of God]
 
; Typography
* [https://web.archive.org/web/20080310022047/http://www.smi.uib.no/ksv/ArabicFonts.html Arabic Fonts and Mac OS X]
* [https://web.archive.org/web/20131006005022/http://www.smi.uib.no/ksv/ArabicProgsx.html Programs for Arabic in Mac OS X]
 
{{Islam topics|state=collapsed}}
{{Names of God}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:আল্লাহ| ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি পরিভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঈশ্বর]]
[[বিষয়শ্রেণী:আরবীয় দেবদেবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:আরবীয় দেবতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মধ্যপ্রাচ্যের দেবতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঈশ্বরের নাম]]

০৭:৫০, ৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

আল্লাহ (টেমপ্লেট:Lang-ar, টেমপ্লেট:IPA-ar) একটি আরবি শব্দ। এটি ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহে সৃষ্টিকর্তা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। বাংলা ভাষায়, শব্দটি সাধারণত ইসলাম ধর্মে স্রষ্টাকে বুঝায়।[১][২] ‘আল্লাহ’ শব্দটি ‘আল’ ও ‘ইলাহ’ (الإله) এর সংক্ষিপ্ত রূপের সমন্বয়ে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। এটি ভাষাগতভাবে হিব্রু এবং আরামীয় ভাষায় ঈশ্বরের প্রতিশব্দ ‘এল’ (এলোহিম) ও ‘এলাহ’ এর সাথে সম্পর্কিত।[৩]

আরবি ক্যালিগ্রাফিতে 'আল্লাহ' শব্দটি

ইসলাম-পূর্ব সময় থেকে আরবের বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে আসছে।[৪] সুনির্দিষ্টভাবে, স্রষ্টা বুঝাতে মুসলিমগণ (আরব ও অনারব উভয়) ও আরব খ্রিস্টানগণ এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। বাহাই, মাল্টাবাসী, মিজরাহী ইহুদি এবং শিখ সম্প্রদায়ও ‘আল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।[৫][৬] পশ্চিম মালয়েশিয়ায় খ্রিস্টান ও শিখদের ‘আল্লাহ’ শব্দটির ব্যবহার সম্প্রতি রাজনৈতিক ও আইনগত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।[৭][৮][৯]এছাড়াও ভারত এবং বাংলাদেশের সিলেটি হিন্দু, ইয়াহুদী এবং খ্রিস্টানরা অনেক সময় ঈশ্বর বুঝাতে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।[১০][১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

  1. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  2. টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
  3. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  4. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  5. আধুনিক মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশ্বকোষ, আল্লাহ
  6. কলম্বিয়া এনসাইক্লোপিডিয়া, আল্লাহ
  7. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  8. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  9. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  10. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  11. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি