ইসলামী পাপ পুণ্যের সাথে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাদৃশ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Sharif Uddin (আলোচনা | অবদান) "{{ইসলাম}} '''ইসলামে পুণ্য (সওয়াব)''' বা '''আল-বিররু''' হল ইসলামী নীতিশাস্ত্রের একটি প্রধানতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায়শই, তাকওয়াকে পুণ্যের সমার্থক বলে চিহ্নিত করা হলেও প্রকৃত..." দিয়ে পাতা তৈরি |
Sharif Uddin (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
[[কুরআন|কুরআনে]] পুণ্য (আল-বিররু) সংজ্ঞায়িত হয়েছে এভাবে: | [[কুরআন|কুরআনে]] পুণ্য (আল-বিররু) সংজ্ঞায়িত হয়েছে এভাবে: | ||
{{quote|'''২:১৭৭''' পুণ্য (আল-বিররু) শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় পুণ্য হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণে র উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্ব জন, এতীম-মিসকীন , মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।| | {{quote|'''২:১৭৭''' পুণ্য (আল-বিররু) শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় পুণ্য হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণে র উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্ব জন, এতীম-মিসকীন , মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।| }} | ||
== হাদিস == | == হাদিস == |
১০:৩৫, ৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
টেমপ্লেট:ইসলাম ইসলামে পুণ্য (সওয়াব) বা আল-বিররু হল ইসলামী নীতিশাস্ত্রের একটি প্রধানতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায়শই, তাকওয়াকে পুণ্যের সমার্থক বলে চিহ্নিত করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলামে পুণ্য অপেক্ষাকৃতভাবে একটি ভিন্ন ও বিস্তৃত সংজ্ঞাকে নির্দেশ করে। ইসলামী পাপ পুণ্যের সাথে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাদৃশ্য রয়েছে।[১][২]
কুরআন
কুরআনে পুণ্য (আল-বিররু) সংজ্ঞায়িত হয়েছে এভাবে:
হাদিস
হাদিসে পুণ্যের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। আন নাওয়াস বিন সামআন হতে বর্ণিত:
ওয়াবিসা বিন মাবাদ হতে বর্ণিত:
আধুনিক মনোবিজ্ঞান
পাপের সাথে মানসিক চাপের সাদৃশ্য
মনোবিজ্ঞানে, স্ট্রেস হল একটি মানসিক চাপ এবং চাপের অনুভূতি। স্ট্রেস হল এক ধরনের মানসিক ব্যথা। অল্প পরিমাণে স্ট্রেস উপকারী হতে পারে, কারণ এটি অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স, প্রেরণা এবং পরিবেশের প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে পারে। অত্যধিক স্ট্রেস, তবে, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, আলসার এবং মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেমন বিষণ্নতা এবং একটি পূর্ব-বিদ্যমান অবস্থার বৃদ্ধি।
মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাহ্যিক এবং পরিবেশের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ উপলব্ধিগুলির কারণেও হতে পারে যা একজন ব্যক্তিকে উদ্বেগ বা পরিস্থিতিকে ঘিরে অন্যান্য নেতিবাচক আবেগ, যেমন চাপ, অস্বস্তি ইত্যাদির সম্মুখীন হতে পারে, যা তারা তখন চাপযুক্ত মনে করে।
মানসিক চাপের হরমোন
মানসিক চাপের একটি শারীরবৃত্তীয় ভিত্তি রয়েছে এবং কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোন এর ক্রিয়াকে বেশি গুরুত্ব দেয়, যা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং অন্যান্য গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত হয়।
পুণ্যের সাথে শিথিলতার সম্পর্ক
শিথিলতা হল একটি প্রক্রিয়া বা আচরণ যেখানে কেউ আরাম করে। লক্ষ্য হল শান্ত হওয়া এবং কম উদ্বিগ্ন, চাপ বা রাগান্বিত হওয়া। শিথিলতা পেশীর টান, রক্তচাপ এবং ধীর হৃদযন্ত্র ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কমাতে পারে, অন্যান্য স্বাস্থ্য সুবিধার মধ্যে।
শিথিলতার হরমোন
ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন—এই চার হ্যাপি হরমোন। এই হরমোনগুলোর কারণেই আমরা খুশি হই, আনন্দে থাকি। আমাদের মনমেজাজ ভালো থাকে। গ্রোথ মাইন্ডসেট টিপস ২৫টি কাজের কথা জানিয়েছে, যার মাধ্যমে এই হরমোন নিঃসরণ করা যায়। চট করে জেনে নেওয়া যাক সেগুলো। ১. ব্যায়াম ২. যৌনমিলন ৩. হাসা ৪. নাচা ৫. সৃজনশীল কাজ করা ৬. মশলাদার ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ৭. ডার্ক চকলেট খাওয়া ৮. টেনশনমুক্ত থাকা ৯. শারীরিক পরিশ্রম করে ঘামা ১০. সফলতা অর্জন ১১. ধ্যান, যোগ ১২. ভ্রমণ ১৩. প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো ১৪. রোদে সময় কাটানো ১৫. ‘হোয়াইট নয়েজ’ বা প্রাকৃতিক শব্দে কানপাতা (বৃষ্টির শব্দ, পাখির ডাক) ১৬. গান শোনা ১৭. ইতিবাচক কোনো মেসেজ পাওয়া ১৮. প্রেমে পড়া ১৯. ‘গসিপ’ করা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া ২০. ইতিবাচক চিন্তা করা ২১. পোষা প্রাণী পালা ২২. কাউকে জড়িয়ে ধরা ২৩. ক্যাফেইন খাওয়া ২৪. ভিটামিন সি ও ডি ২৫. ভালো ঘুম[৩]
ইসলামে পাপ পুণ্য
ইসলামে ফরজ পালন ও হারাম (কবিরাহ ও সগিরাহ) বর্জন হলো পুণ্য ফরজ ত্যাগ ও হারামে লিপ্ত হওয়া হলো পাপ। আর নফল ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা পুণ্য এবং নফল ইবাদতে চরমপন্থা অথবা শিথিলতা অবলম্বন করা পাপ।