ইসলামে রাজনীতি
টেমপ্লেট:Infobox political system টেমপ্লেট:Islam টেমপ্লেট:Islam and other religions ইসলামে রাজনীতি (সিয়াসাতুশ শরিয়াহ) মূলত কোরআন, সুন্নাহ (ইসলামী নবী মুহাম্মদের বানী ও জীবনাচরণ), ইসলামের ইতিহাস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম থেকে উদ্ভূত। ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামে রাজনৈতিক ধারণাসমূহের মধ্যে নির্বাচিত নেতৃত্ব একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর যারা ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থায় নেতৃত্বদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে খলিফা বলা হয়। ইসলামি রাজনৈতিক চিন্তায় রাষ্ট্র পলিচালনার জন্য ইসলামি আইন বা শরিয়াহ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। শরিয়া আইন অনুসারে নির্বাচিত শাসকবৃন্দ জনগণের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে শুরা বা পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।[১] রাশিদুন খলিফাসহ প্রাথমিক খলিফাদের পর দ্বিতীয় মুয়াবিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মুসলিম রাজা বাদশাহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বা বিজিত অঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনা করেন। আধুনিককালে বিভিন্ন আধুনিক রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচলনের ব্যাপকতার কারণে সেগুলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন অঞ্চলসমূহে ইসলামের প্রভাবে ও সংমিশ্রণে বিভিন্ন মাত্রার মিশ্র রূপ লাভ করেছে। ইসলামী আলেমগণ একমাত্র প্রথমত খেলাফত ও দ্বিতীয়ত মুসলিম রাজতন্ত্রকে ইসলামী বৈধ রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলে দাবি করেন[২] এবং বাকি রাজনৈতিক ব্যবস্থাগুলোকে হারাম বললেও[৩] ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিমদের ক্ষমতায় যাবার পথ হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করাকে বৈধ বলে রায় দেন।[৪]
১৯২৪ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়।[৫] উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বের রাজনীতিতে বিবেচ্য বিষয় ছিলো ইসলামী রাষ্ট্রসমূহে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা। ছয় দিনের যুদ্ধে আরব বাহিনীর পরাজয়, স্নায়ু যুদ্ধের সমাপ্তি ও সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার পতন ইত্যাদি রাজনৈতিক ঘটনাবলি ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামের আবেদনকে বেগবান করেছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি অনাস্থাস্বরূপ মুসলিম বিশ্বের ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
শব্দতত্ত্ব ও সংজ্ঞা
আরবি ভাষায় নীতি ও রাজনীতি উভয়কে বোঝাতেই সিয়াসাত বা সিয়াসাহ (سياسة) শব্দটি ব্যবহৃত হয়, ব্যকরণবিদদের মতে, এটি আরবি ধাতু সাসা (ساس) থেকে এসেছে যার অর্থ পরিচালনা করা, ব্যবস্থাপনা করা, শাসন করা। শব্দটির ফিল মুদারী বা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ক্রিয়ারূপ হল ইয়াসুস (يسوس)।[৬] ইসলামিক স্কলারদের মতে, ইসলামে ও আরবি ভাষায় সিয়াসাহ শব্দটি দ্বারা প্রচলিত রাজনীতি, ক্ষমতা ও নেতৃত্বকে বোঝায় না, বরঞ্চ এর দ্বারা কোন অবস্থার উন্নয়ন, উদ্ভূত সমস্যার সমাধানকরণ, পরিস্থিতির উন্নতিকরণ, কোন কিছুকে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় নিয়ে আসা ইত্যাদিকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ তিনি নবী সুলায়মানের একটি ঘটনাকে উদ্ধৃত করেন, যেখানে একটি শিশুর দুইজন মাতৃত্বের দাবিদারের মধ্য হতে যে কৌশলের মাধ্যমে নবী সুলায়মান প্রকৃত মাকে চিহ্নিত করেন তাকে সিয়াসাত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, যে সকল বিষয়ে কোরআন ও সুন্নাহে উল্লেখিত শরিয়তের অকাট্য দলিল রয়েছে, সেসব বিষয়ে সিয়াসাহ বা নবউদ্ভাবিত সমাধান কৌশল বৈধ হবে না, একমাত্র শরিয়তে অনুল্লেখিত বিষয়সমূহের ক্ষেত্রেই সিয়াসাহ-র প্রয়োগ বৈধ্য হবে।[৭]
প্রাথমিক গ্রন্থপঞ্জি
ইসলামী রাজনীতি বিষয়ক সর্বপ্রাচীন মৌলিক গ্রন্থ হলো আল-মাওয়ার্দীর আহকামুস সুলতানিয়াত (প্রশাসনিক বিধিমালা)। এছাড়াও পরবর্তী রচনাগুলার মধ্যে রয়েছে আবু ইয়ালার আহকামুস সুলতানিয়া, আবুল মায়ালি আল জুয়াইনির আল-গিয়াসি এবং ইবনে তাইমিয়ার সিয়াসাতুশ শারিয়াহ ইত্যাদি।[৭]
ধর্মগ্রন্থীয় পাণ্ডুলিপি
কুরআন
কুরআনে ইসলামি রাজনীতি প্রসঙ্গ রাজনৈতিক ইসলামপন্থীগণ সবচেয়ে বেশি ইকামতে দ্বীন নামক ধারণাটিকে তুলে ধরেন, যা সূরা শুরার ১৩ নং আয়াতে উল্লেখ আছে।
তবে এখানে আয়াতটিতে দ্বীন কায়েম অংশে দ্বীন বলতে কী বোঝায় তা নিয়ে ইসলামপন্থীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। রাজনৈতিক ইসলামপন্থীগণ এর দ্বারা আল্লাহর হুকুমত বা আল্লাহর আদেশ প্রতিষ্ঠা বা ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা তথা ইসলামী বা মুসলিম রাজনীতি বা ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করেন, অপরদিকে মূলধারার সালাফী মতাবলম্বীগণ এর দ্বারা তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার কথা বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন, এবং প্রথোমক্ত হুকুমত কায়েম সংক্রান্ত ব্যাখ্যাকে ভুল দাবি করে তার বিরোধিতা করেন।

ইসলামে রাজনৈতিক ক্ষমতাসীনদের আনুগত্যের প্রসঙ্গে সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতকে উল্লেখ করা হয় যাকে আনুগত্যের আয়াত বলা হয়েছে, এতে আল্লাহ ও ইসলামী নবী মুহাম্মদের পাশাপাশি উলিল-আমর বা দায়িত্বে নিয়োজিত ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের (শাসক ও ওলামা) আনুগত্য করতে বলা হয়েছে, যে আনুগত্য হল বৈধ ইসলামী নির্দেশসমূহের (হালাল) ব্যাপারে আনুগত্য, অনৈসলামিক নির্দেশের (হারাম) ব্যাপারে নয়।
পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের অভিমত
মাইকেল কুক তার মুহাম্মদ নামক বইতে মন্তব্য করেন যে, যদিও কুরআন রাজনীতি নিয়ে কোন কথা বলেনি, তবে এতে নিপীড়িতদের (মুস্তাদ'আফীন), দেশত্যাগ (হিজরত), মুসলিম সম্প্রদায় (উম্মাহ) এবং আল্লাহর পথে লড়াই করার (জিহাদ) ধারণার উল্লেখ রয়েছে, যার রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে।[৮] কুরআনের বেশ কয়েকটি আয়াতে (যেমন কুরআন ৪: ৯৮) মুস্তাদ'আফিন ("দুর্বল বলে বিবেচিত", "সম্বলহীন" বা "নিপীড়িত") সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেমন: কীভাবে ফেরাউনের মত লোকেরা তাদেরকে শোষণ করে, আল্লাহ কীভাবে তাদের সাথে ন্যায়বিচার করা হোক বলে আশা করেন এবং তারা যে দেশ থেকে অত্যাচারিত হয় সেখান থেকে কীভাবে তারা দেশত্যাগ করতে পারে (কুরআন ৪: ৯৯)। নবী ইব্রাহীম "আপন পালনকর্তার উদ্যেশ্যে দেশত্যাগ" করেছিলেন (কুরআন ২৯: ২৬)। কুরআনে অবিশ্বাসীদের (কুফফার) বিরুদ্ধে যুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং ঐশী সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যদিও (কিছু) আয়াতে বলেছে যে এই আদেশটি হয়তবা তখনকার জন্য যখন অবিশ্বাসীরা যুদ্ধ শুরু করে এবং চুক্তি ও সমঝোতা করে তখন যুদ্ধের অবসান ঘটানো যেতে পারে। এছাড়াও কুরআনে বিজয়ীদের মাঝে যুদ্ধলব্দ সামগ্রীর যথাযথ বিভাজনের জন্যও কিছু আয়াত রয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শত্রু বা "প্রতারকদের" "( মুনাফিকুন ) বিরুদ্ধে যুদ্ধেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।[৮] কিছু আদেশ নবীর জীবদ্দশার পরবর্তীতে আর বিস্তৃত হয়নি, যেমন আল্লাহ ও তার নবীর সঙ্গে ঝগড়া করা বা নবীকে কথা বলার সময় তার সঙ্গে চিৎকার করে বা উঁচু গলায় কথা বলা।[৯] ইসলামের রাজনৈতিক শিক্ষা সীমিত হওয়ার কারণ হল, কুরআনে "কোন আনুষ্ঠানিক ও অব্যাহত কর্তৃত্বের কাঠামো"র ব্যপারে উল্লেখ করা হয়নি, এতে কেবল নবীকে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে[৯] আর এর মূলভাবের রাজনৈতিক ব্যবহার ছিল সে সময় অত্যন্ত সীমিত যখন কিনা বিভিন্ন শহর আর দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এক বিস্তৃত কৃষক-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনাই যে ইসলামের সাফল্য হতে পারে তা মরুভূমির যাযাবর মানুষের ধারণাতীত ছিল।[১০]
হাদীস
রাজনীতি বা সিয়াসাত শব্দের উল্লেখ
বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে সিয়াসাত শব্দটির ধাতুমূল ক্রিয়াপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
ইমাম নববী বলেন: "[তারা] নবীদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল" এর অর্থ হল নবীরা তাদের বিষয়গুলি দেখভাল করতেন শাসকদের মতো যারা জনগণের দায়িত্বে থাকেন। এইভাবে সিয়াসাহ বলতে বোঝায় এমনভাবে কোনো কিছুর যত্ন নেওয়া যা এর মঙ্গল বজায় রাখে এবং এর স্বার্থ পূরণ করে।[১১]
নেতৃত্বের নির্দেশনা
- নেতৃত্বের প্রাথমিক শর্তঃ তিনজনের জামাআত ও কুরআনে (ইসলামী জ্ঞানে) পারদর্শিতা
সালিহ আল মুনাজ্জিদ তার হুব্বুস সিয়াসাত (নেতৃত্বপ্রীতি) বইতে বলেন, সুন্নাহ অনুযায়ী মানুষ সংঘবদ্ধ থাকলে একজন নেতা থাকা আবশ্যক।[১২]
আরেক হাদীসে এসেছে তিনজনের বেশি একত্রে থাকলে নেতা একজনকে বানাতে হবে আর এমন কাওকে বানাতে হবে যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুরআন(ও সহীহ হাদীস তথা বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞান) জানে।
আরেক হাদীসে নেতা বা ইমাম বানানোর বিস্তৃত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। (অধিকাংশ আলেমের মতে এটি ধর্মীয় ইমামতি বা ধর্মীয় নেতৃত্ব, তবে অনেক আলেম একে রাজনৈতিক ইমামতি বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশনা হিসেবেও সাব্যস্ত করেছেন।)
- জ্ঞানার্জন
হাদীসে আলিম ব্যক্তিকে নেতা বানাতে বলা হয়েছে এবং জাহেল ব্যক্তিকে নেতা বানানো কেয়ামতের লক্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে।
সাহাবী ওমর ও সালফে সালেহীনগণ নেতা হওয়ার আগে ও পরে জ্ঞান অর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে নিজের জ্ঞান দ্বারা নেতৃত্ব জাহিরের উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করাকে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে।
- সততা ও নির্লোভতা
ব্যক্তিগত জীবনে সৎ এবং নেতৃত্ব ও ক্ষমতাকে মন থেকে অপছন্দকারী লোকদেরকে নেতৃত্বের যোগ্য হিসেবে হাদীসে বলা হয়েছে।
হাদীসে নেতৃত্বের লোভ করতে নিষেধ করে বলা হয়েছে নেতৃত্বের সূচনা আনন্দদায়ক হলেও পর্যায়ক্রমে তা কষ্টদায়ক হতে থাকে।
- পরামর্শ ও অগ্রাধিকার
হাদীসে পরামর্শের ভিত্তিতে নেতা বা আমীর নির্ধারণ করতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এবং প্রথমে যার নেতৃত্ব তথা যার প্রতি আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তার আনুগত্য করতে বলা হয়েছে এবং তার মৃত্যুর পর পরবর্তী আমীর নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে, এবং প্রথম বাইয়াত বা আনুগত্যপ্রাপ্ত বা প্রতিষ্ঠিত নেতার জীবদ্দশায় অপর কেউ নেতৃত্বের দাবি করলে কঠোরভাবে তাকে প্রতিরোধ করতে বলা হয়েছে।
- যোগ্য লোককে নেতৃত্বদান
বিশুদ্ধ বলে গণ্য সুন্নি হাদীসে যোগ্য লোককে নেতৃত্বভার দিতে বলা হয়েছে।
- সক্ষমতা
হাদীসে দুর্বল লোককে নেতৃত্ব দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
- মুনাফিক না হওয়া
সালিহ আল মুনাজজিদ তার আননিফাক বইতে বলেন, ইসলামী নবী মুহাম্মদ কোন মুনাফিককে নেতা বানাতে নিষেধ করেছেন, [১৩]
- রাষ্ট্রপ্রধান নারী না হওয়া
হাদীসে রাষ্ট্রপ্রধানের পদে নারীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
- চেয়ে নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা
সালিহ আল মুনাজ্জিদ তার হুব্বুর রিয়াসাত (নেতৃত্বপ্রীতি) বইতে বলেছেন, বিশুদ্ধ বলে গণ্য সুন্নি হাদীসে চেয়ে নেতৃত্ব নিতে নিষেধ করা হয়েছে।[১৪] টেমপ্লেট:উক্তি টেমপ্লেট:উক্তি
- যোগ্যতা থাকলে ভালো কাজের নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার বৈধতা
তবে আমির আল ইয়ামিনী একটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভালো কাজের নেতৃত্ব চেয়ে নেয়া জায়িয বলেও মত দেন।
- দ্বায়িত্বশীলতা
হাদীসে নেতৃত্বের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হতে সতর্ক করা হয়েছে।
আনুগত্য ও বিরোধিতা
ইসলামী নবী মুহাম্মদ মুসলিমদের মিলেমিশে থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং আমীর বা কর্তৃত্বশীল নেতা বা শাসকের ত্রুটিবিচ্যুতিতে বা অত্যাচারী হলেও ধৈর্যধারণ করে একতাবদ্ধ অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।[১৫]
হাদীসে নেতা শাসক ও ক্ষমতাসীনদের আনুগত্য করতে বলা হয়েছে, যখন তারা ইসলামী কাজের (হালাল) নির্দেশ দেয়, আর অনৈসলামিক কাজে (হারাম) তাদের আনুগত্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।[১৫][১৬]
নেতাকে গোপনে পরামর্শ দেওয়া
ইসলামী নবী মুহাম্মদ শাসককে নসীহত বা পথপ্রদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, এবং তা গোপনে করতে বলেছেন।[১৫]
নেতৃত্বে বৈধতার মানদণ্ডঃ নামাজের অনুমতি দেওয়া
খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ বইতে বলেন, হাদীসে ততক্ষণ পর্যন্ত শাসকের ক্ষমতার বিরোধিতা করতে নিষেধ করা হয়েছে, যতক্ষণ তারা নামাজ পড়ে এবং/অথবা প্রকাশ্যে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়।
গোত্রপ্রীতি ও স্বজনপ্রীতি
হাদীসে আসাবিয়াত বা গোত্রপ্রীতিকে তিরষ্কার ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হাদীসে স্বজনপ্রীতি দেখলে বিশৃঙ্খলা না করে নিজ দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্যের জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।
জনগণের দুর্নীতির ফলে অত্যাচারী শাসকের আবির্ভাব
ফিকহশাস্ত্রে
ইবনে তাইমিয়া তার সিয়াসাহ শারিয়াহ বইতে বলেন, নেতা বা শাসকবিহীন অবস্থায় এক রাত থাকার চেয়ে অত্যাচারী শাসকের অধীনে ৬০ বছর থাকাও অধিক উত্তম।
নাসিরুদ্দিন আলবানী তার দারসুশ শাইখুল আলবানী গ্রন্থে বলেন, হে মুসলিমগণ, রাজনীতি থেকে দুরে থাকা রাজনীতির অন্তর্ভূক্ত (أيّها المتأسلمون: من السياسة ترك السياسة) (মিন আস-সিয়াসাহ তারাকা আল-সিয়াসাহ, রাজনীতি থেকে(ই আসে) রাজনীতি ত্যাগ করা(র বিষয়টি)/রাজনীতি ত্যাগ করার বিষয়টি রাজনীতি থেকেই আসে/এসেছে)।[১৭] সেখানে তিনি বলেন,
ইখওয়ানুল মুসলিমিন ও সমমনা মুসলিম দলগুলো আলবানীর এই মতের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এর দ্বারা আলবানী ধর্ম ও রাজনীতিকে আলাদা করেছন।[১৮] আলবানীর অনুগামীগণ এর বিরোধিতা করে বলেন, এখানে রাজনীতি বলতে ইসলামের নামে ক্ষমতা, সম্মান ও অর্থলোভের প্রতিযোগিতামূলক অপরাজনীতিকে বোঝানো হয়েছে। ইসলামী সমাজ বিনির্মানের পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলবানী তাছফিয়াহ ও তারবিয়াহ (আত্মশুদ্ধির ও প্রশিক্ষণ,এর গুরুত্ব দিয়ে বলেন,
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার হাদিসের নামে জালিয়াতি বইতে বলেন,
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সুফি-সালাফি(ওহাবী) সম্পর্ক, তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও পশ্চিমা বিশ্বে তার অপব্যবহার ও অপব্যাখ্যা নিয়ে ব্যাপারে তার ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ বইতে বলেন,
নুরুল ইসলাম তার প্রশ্নোত্তরে রমজান ও ঈদ বইতে বলেন,
মনজুর এলাহি তার "সমাজ সংস্কারে সঠিক আকীদার গুরুত্ব" বইতে "সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও সে ক্ষেত্রে সঠিক ইসলামী আকীদার ভূমিকা ও গুরুত্ব" সম্পর্কে বলেন,[১৯]
মুশ্তাক আহমেদ কারীমী ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যাংকের সুদের সাথে রাজনীতির সম্পর্কের ব্যাপারে বলেন,
ইতিহাস
প্রাথমিক যুগ
টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ রাজনৈতিক আন্দোলন হিসাবে ইসলামের ভিত্তি ইসলামিক নবী মুহাম্মদ এবং তার উত্তরসূরিদের জীবন ও সময়গুলিতে খুঁজে পাওয়া যায়। ৬২২ খ্রিস্টাব্দে নিজ নবুয়াতের দাবির স্বীকৃতি হিসাবে মুহাম্মদকে মদীনা শহরে শাসন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ সময় আউস এবং খাজরাজ গোত্রের স্থানীয় আরব উপজাতিরা এই শহরটিতে আধিপত্য বিস্তার করেছিল এবং তাতে নিয়মিত সংঘাত সংঘর্ষ চলমান ছিল। মদিনার অধিবাসীরা মুহাম্মাদের মাঝে একজন নিরপেক্ষ বহিরাগত দেখতে পেয়েছিল যে সংঘাতটি সমাধান করতে পারে। মুহাম্মদ এবং তাঁর অনুসারীরা এভাবে মদিনায় চলে যায়, যেখানে মুহাম্মদ মদীনার সনদ খসড়া করেছিলেন। এই দলিলটি মুহাম্মদ কে শাসক হিসেবে পরিণত করে এবং তাকে আল্লাহর নবী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। মুহম্মদ তাঁর শাসনকালে কুরআন ও নিজ কর্মের উপর ভিত্তি করে আইন প্রতিষ্ঠা করে, যাকে মুসলমানরা শরিয়া বা ইসলামী আইন হিসাবে বিবেচনা করে, যাকে বর্তমান সময়ের ইসলামী আন্দোলনগুলো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। মুহাম্মদ একটি বিস্তৃত অনুসারী দল ও সেনাবাহিনী অর্জন করেছিলেন এবং কূটনীতি ও সামরিক বিজয়ের সংমিশ্রণের মাধ্যমে তার শাসন প্রথমে মক্কা শহরে এবং এরপর আরব উপদ্বীপের মাধ্যমে প্রসারিত হয়।
বর্তমানে বহু সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলামপন্থী বা ইসলামী গণতান্ত্রিক দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই বিদ্যমান। অনেক জঙ্গি ইসলামী গোষ্ঠীও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। পাশাপাশি কিছু অমুসলিম ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতিপয় জঙ্গিবাদী ইসলামী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দর্শনের বর্ণনা দেওয়ার জন্য "ইসলামি মৌলবাদ" নামক একটি বিতর্কিত শব্দের উদ্ভাবন করেছেন। এই উভয় পরিভাষাই (ইসলামী গণতন্ত্র এবং ইসলামী মৌলবাদ) পৃথক ইতিহাস, মতাদর্শ এবং দৃষ্টিকোণের অধিকারী বিভিন্ন দল-উপদলের এক বিশাল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে।
মদিনার ইসলামী রাষ্ট্র
টেমপ্লেট:আরও দেখুন ইসলামী নবী মুহাম্মাদ মদিনার সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিলেন। এতে মুহাম্মাদ ও ইয়াস্রিবের (পরবর্তীতে মদিনা) সকল গুরুত্বপূর্ণ গোত্র ও পরিবারের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি বিধিবদ্ধ হয়েছিল, যার মধ্যে মুসলিম, ইহুদি, খ্রিস্টান[২০] ও পৌত্তলিকরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।[২১][২২][২৩] এই সংবিধান প্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের মূলভিত্তি গঠন করেছিল। এই দস্তাবেজটি মদিনার আওস ও খাজরাজ গোত্রের মধ্যে চলমান তিক্ত আন্তঃগোত্রীয় লড়াইয়ের একটি আশানুরূপ সমাপ্তি আনয়নের প্রকাশ্য প্রচেষ্টাস্বরূপ লিখিত হয়েছিল। এতে মদিনার মুসলিম, ইহুদি খ্রিস্টান ও পৌত্তলিক সম্প্রদায়সমূহের অধিকার ও কর্তব্যসমূহ সংক্ষেপে নির্ধারণ করার মাধ্যমে তাদেরকে উম্মত নামক একক সম্প্রদায়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়।[২৪]
প্রাথমিক খিলাফত ও রাজনৈতিক আদর্শ
টেমপ্লেট:আরও দেখুন মুহাম্মদের মৃত্যুর পর, তার সম্প্রদায়ের একজন নতুন নেতা নিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে, যার ফলে খলিফা পদবির উৎপত্তি ঘটে, যার অর্থ হল "উত্তরসূরি"। একারণে, পরবর্তীকালে ইসলামী সাম্রাজ্যগুলো খিলাফত নামে পরিচিত ছিল। উমাইয়া সাম্রাজ্য বেড়ে ওঠার সময় ইসলামের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিকাশ ছিল সুন্নি এবং শিয়া মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভক্তি; খেলাফতের উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের জেরে এই বিভাজনের সূত্রপাত ঘটেছিল। সুন্নি মুসলমানরা বিশ্বাস করতেন যে, খিলাফত হবে নির্বাচনভিত্তিক এবং যে কোন মুসলিম যোগ্যতাভিত্তিক নির্বাচনের মাধ্যমে এই পদবির অধিকারী হতে পারে। অন্যদিকে শিয়াগণ বিশ্বাস করতেন যে, খলীফাগণ নবীর বংশধরদের মধ্য থেকে হওয়া উচিত এবং এ কারণে তাদের মতে, আলী ছাড়া বাদবাকি সমস্ত খলিফা ছিলেন খলিফা পদবির অবৈধ দখলদার।[২৫] তবে, মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ স্থানেই সুন্নি সম্প্রদায় বিজয়ী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং একইভাবে আধুনিক ইসলামী রাজনৈতিক আন্দোলনসমূহের (ইরান ছাড়া) অধিকাংশই সুন্নি চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
নির্বাচন বা সরাসরি নিয়োগ
শাফেয়ী মাজহাবের মুসলিম ফকীহ আল-মাওয়ারদী লিখেছেন যে, খলিফা হওয়া উচিত কুরাইশ বংশীয়। আশআরী ইসলামী পণ্ডিত ও মালিকি আইনবিদ আবু বকর আল বাকিলনি, লিখেছেন যে, মুসলমানদের নেতা কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্যে থেকে হওয়া উচিত। সুন্নি হানাফি ফিকহের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফা আন-নুমান লিখেছেন যে, নেতা অবশ্যই সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে হতে হবে।[২৬]
মজলিশ আশ-শূরা
টেমপ্লেট:আরও দেখুন খেলাফতের আইনসভা, সর্বাধিক উল্লেখযোগ্যভাবে রাশিদুন খিলাফতের আইনসভা আধুনিক বিবেচনায় গণতান্ত্রিক ছিল না, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মোহাম্মদের উল্লেখযোগ্য এবং বিশ্বস্ত সহযোগীদের (সাহাবীদের) এবং বিভিন্ন গোত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিষদের হাতে ন্যাস্ত ছিল (তাদের বেশিরভাগই ছিল নিজ গোত্রের নির্বাচিত বা বাছাইকৃত ব্যক্তি)।[২৭]
ক্ষমতার পৃথকীকরণ
প্রথমদিকের ইসলামি খেলাফতে, মুহাম্মদের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের একজন উত্তরসূরি হিসেবে রাষ্ট্রপ্রধান আকারে খলিফাগণের অবস্থান তৈরি হয়েছিল , যারা সুন্নী অনুসারে জনগণ বা তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা আদর্শ পদ্ধতিতে নির্বাচিত হতেন,[২৮] যেমনটি আবু বকরের নির্বাচন, উসমানের নির্বাচন এবং খলিফা হিসাবে আলির ক্ষেত্রে হয়েছিল। পরে রশিদুন খালিফাদের পর ইসলামিক স্বর্ণযুগের খলিফাদের সময়ে গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের পরিমাণ অনেক কম ছিল, কিন্তু যেহেতু ইসলামে "ধর্মপরায়ণতা ও পুণ্যের ভিত্তি ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে কেউ কারও চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয় ", এবং মুহাম্মদের আদর্শ ছিল জনগণের সঙ্গে সলাপরামর্শ করা, তাই পরবর্তীকালে ইসলামী শাসকরা প্রায়শই তাদের রাজকার্যের বিষয়ে জনগণের সাথেপরামর্শ করতেন।[২৯]
রাজতন্ত্র
টেমপ্লেট:মূল ইসলামি রাজতন্ত্র হল একটি রাজতন্ত্র যা ইসলাম মেনে চলে। ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন মামলাকাত ("রাজ্য"), খিলাফত, সালতানাত, বা আমিরাত, বর্তমান ইসলামী রাজতন্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে:
- বাহরাইন রাজ্য
- ব্রুনাই দারুসসালাম
- জর্ডানের হাশেমী রাজ্য
- কুয়েত রাজ্য
- মালয়েশিয়া
- মরক্কো রাজ্য
- ওমানের সালতানাত
- কাতার রাজ্য
- সৌদি আরব রাজ্য
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
আনুগত্য ও বিরোধিতা
পণ্ডিত মোজান মোমেনের বক্তব্যমতে, "কুরআনের অন্যতম প্রধান একটি বিষয় যা নিয়ে অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে" যার বিষয়বস্তু হল, দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তার ভিত্তি হল নিম্নোক্ত আয়াতটি
"হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ ও রাসূলকে মেনে চলো এবং তাদেরকে মেনে চল যাদেরকে তোমাদের মধ্য থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (ঊলা' আল-আমর) " (কুরআন ৪:৫৯)।
সুন্নিদের কাছে, ঊলা' আল-আমর হল শাসকগণ (খলিফা ও রাজা-বাদশাহগণ) কিন্তু শিয়াদের কাছে এই কথার অর্থ হল ইমামগণ।"[৩০]
মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় আলেমগণ উসূলুল ঈমান গ্রন্থে বলেন, কুরআন ও সুন্নাহ থেকে উপস্থাপিত দলীল-প্রমাণ অনুসারে গুনাহের কাজ ছাড়া অন্যান্য যাবতীয় ব্যাপারে ইমাম ও শাসকগোষ্ঠির আনুগত্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার সার-সংক্ষেপ নিম্নরূপ:[৩১]
- গুনাহর কাজ ছাড়া সর্বাবস্থায় শোনা ও মানা ওয়াজিব।
- শাসকগোষ্ঠী যদি নসীহত কবুল না করে তারপরও তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করা।
- যে কেউ শরী'আত সমর্থিত পদ্ধতিতে শাসকগোষ্ঠীকে নসীহত করল এবং তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করল সে গুনাহ থেকে মুক্তি পেল।
- ফিৎনা ফাসাদ সৃষ্টি করা নিষেধ, অনুরূপভাবে যে সমস্ত কারণে ফিত্না বা অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে তা করাও নিষেধ।
- যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতাশীলদের থেকে এমন কোনো সুস্পষ্ট কুফুরী প্রকাশ না পাবে যা কুফুরী হওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রকার দ্বিমত থাকবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে না।
- কথা, কাজ ও বিশ্বাসে কুরআন ও সুন্নাহর আদর্শে পরিচালিত মুসলিমদের জামা'আতকে আঁকড়ে ধরে থাকা ওয়াজিব, তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে, তাদের পথে চলতে হবে, হক ও ন্যায়ের পথে তাদের কথা এক রাখার ব্যাপারে আগ্রহ থাকতে হবে। তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না বা তাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা যাবে না।
অত্যাচারী ও পাপাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও বিরোধিতা করা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে সালিহ আল মুনাজ্জিদ বলেন, "ইসলামী শরিয়ার একটি সূত্র হচ্ছে-“মন্দকে মন্দতর দিয়ে প্রতিরোধ করা যাবে না। বরং যা দিয়ে মন্দকে নির্মূল করা যাবে, কিংবা কমানো যাবে তা দিয়ে মন্দকে প্রতিরোধ করতে হবে”। তাই যে শাসক সুস্পষ্ট কুফুরীতে লিপ্ত তাকে যারা ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় তাদের যদি এমন সক্ষমতা থাকে যা দিয়ে তারা তাকে পদচ্যুত করতে পারবে, তার বদলে একজন ভাল ও নেককার শাসক বসাতে পারবে এবং এর ফলে মুসলমানদের মধ্যে বড় ধরনের কোন বিশৃংখলা তৈরী হবে না, এ শাসকের অনিষ্টের চেয়ে বড় কোন অনিষ্টের শিকার হবে না— তাহলে এতে কোন বাধা নেই। পক্ষান্তরে, এ বিদ্রোহের মাধ্যমে যদি বড় ধরনের বিশৃংখলা তৈরী হয়, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, নিরপরাধ মানুষ জুলুম ও গুপ্ত হত্যার শিকার হয়... ইত্যাদি ইত্যাদি তাহলে বিদ্রোহ করা জায়েয হবে না। বরং ধৈর্য ধারণ করতে হবে, শাসকের ভাল নির্দেশের আনুগত্য করতে হবে। শাসককে উপদেশ দিতে হবে, ভাল কাজ করার দিকে ডাকতে হবে। মন্দকে কমানো ও ভালকে বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এটাই সরল পথ; যে পথ অনুসরণ করা কর্তব্য। কারণ এ পথে মুসলমানদের জন্য সাধারণ কল্যাণ নিহিত; এ পথে ক্ষতির দিক কম, কল্যাণের দিক বেশি; এ পথে আরও বড় অকল্যাণ থেকে মুসলমানদের নিরাপত্তা নিহিত আছে।"[৩২]
শরিয়াহ ও প্রশাসনিক-ব্যবস্থা (সিয়াসাত)
টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ মধ্যযুগের শেষের দিক থেকে, সুন্নি ফিকহে সিয়সা শারিয়াহর মতবাদকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা শুরু হয়, যার আক্ষরিক অর্থ শরিয়াহ অনুসারে শাসনব্যবস্থা এবং কখনও কখনও একে ইসলামী আইনের রাজনৈতিক মাত্রাও বলা হয়ে থাকে। এর লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার ব্যবহারিক চাহিদার সঙ্গে ইসলামী আইনের মেলবন্ধন ঘটানো।[৩৩]
শিয়া প্রথা
শিয়া ইসলামে, শাসকদের প্রতি তিনটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্য পেয়েছে - শাসকের সাথে রাজনৈতিক সহযোগিতা, শাসককে চ্যালেঞ্জ করার রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্নতা - "যুগ যুগ ধরে শিয়া উলামাদের লেখনী" "এই তিনটি মনোভাবের সকল উপাদান" প্রদর্শন করেছে।[৩৪]
খারেজি প্রথা
টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ কিছু মুসলিম লেখকের মতে, ইসলামের মধ্যে চরমপন্থা ৭ম শতাব্দীতে খারিজিদের কাছ থেকে শুরু হয়। মূলত তাদের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে, তারা চরম মতবাদ গড়ে তুলেছিল যা তাদের মূলধারার সুন্নি এবং শিয়া উভয় মুসলমানদের থেকে আলাদা করে। খারিজিরা বিশেষভাবে তাকফির এর প্রতি উগ্রপন্থা অবলম্বন করার জন্য সুপরিচিত ছিল, যেখানে তারা অন্যান্য মুসলমানদের অবিশ্বাসী বলে ঘোষণা করেছিল এবং তাই তাদের হত্যার যোগ্য বলে মনে করেছিল।[৩৫][৩৬][৩৭]
খারেজিদের আবির্ভাবের ব্যাপারে ইসলামী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর একটি হাদিসকে আলেমগণ উল্লেখ করে থাকেন।
খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ বইটিতে উপরোক্ত হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,[৩৮]
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর খারেজীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাপারে বলেন:
(১) ইসলামের নির্দেশনা বা কুরআন বুঝার ক্ষেত্রে নিজেদের বুঝকেই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা। এক্ষেত্রে সাহাবীগণের মতামতের গুরুত্ব অস্বীকার করা।
(২) হাদীস মানলেও সুন্নাত বা আলোচ্য ও বিতর্কিত বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর প্রায়োগিক কর্ম ও কর্মপদ্ধতির গুরুত্ব অস্বীকার করা।
(৩) পাপের কারণে মুসলিমকে কাফির বলা।
(৪) কাফির হত্যার ঢালাও বৈধতা দাবি করা।
(৫) রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের শরয়ী গুরুত্ব অস্বীকার করা।
(৬) রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পাপের কারণে রাষ্ট্রকে কাফির রাষ্ট্র বলে গণ্য করা।
(৭) এরূপ রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্যকারী নাগরিকদেরকে কাফির বলা।
(৮) এরূপ কাফির রাষ্ট্র ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ বৈধ বলা।
(৯) জিহাদকে ফরয আইন, বড় ফরয ও দীনের রুকন বলে দাবি করা।
(১০) ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের নামে শাস্তি প্রদান।
(১১) তাদের মতের বিরোধী সকল আলিমকে অবজ্ঞা করা।
আধুনিক যুগ
ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের প্রতিক্রিয়া
১৯ শতকের সময়কালে, মুসলিম বিশ্বের ইউরোপীয় উপনিবেশকরণের পাশাপাশি একই সময়ে ফরাসিদের আলজেরিয়া বিজয় (১৮৩০), ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন (১৮৫৭), ককেশাস (১৮২৮)ও মধ্য এশিয়ায় (১৮৩০-১৮৯৫) রুশ বহিরাক্রমণ সংঘটিত হয়, এবং বিংশ শতাব্দীতে চূড়ান্তভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ও বিলুপ্তি ঘটে (১৯০৮-১৯২২)।
ইসলামী রাষ্ট্রের আধুনিক রাজনৈতিক আদর্শ
টেমপ্লেট:আরও দেখুন মধ্যযুগীয় পণ্ডিত মতামত দ্বারা প্রদত্ত বৈধতা ছাড়াও, সফল ইসলামী সাম্রাজ্যের দিনগুলির জন্য নস্টালজিয়া পরবর্তীতে পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতার অধীনে উন্মোচিত হয়েছিল। এই নস্টালজিয়া ইসলামী রাষ্ট্রের ইসলামী রাজনৈতিক আদর্শে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে, এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে ইসলামী আইন প্রধান।[৩৯]
গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা
সাধারণ মুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি
- গণতান্ত্রিক মতবাদসমূহের সমর্থন, যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করা হয় যে, সেগুলো ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে জনকল্যাণমূলক ভূমিকা রাখতে পারে, উদাহরণস্বরূপ আরব বসন্তের গনঅভ্যুত্থানসমূহে অংশগ্রহণকারী বহু আন্দোলনকারী;
- নির্বাচনের মত গণতান্ত্রিক পন্থার সমর্থন, পাশাপাশি পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের কিছু দৃষ্টিভঙ্গিকে শরিয়তের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করে সেগুলোর প্রতি ধর্মীয় ও নৈতিক আপত্তি, উদাহরণস্বরূপ ইউসুফ আল-কারজাভির মত ইসলামী পণ্ডিতগণ;
- গণতন্ত্রকে পশ্চিমা আমদানি হিসেবে প্রত্যাখ্যান এবং ঐতিহ্যবাহী ইসলামী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সমর্থন, যেমন শূরা (আলোচনাসভা) ও ইজমা (ঐক্যমত্য), উদাহরণস্বরূপ পূর্ণাঙ্গ রাজতন্ত্র ও মৌলবাদী ইসলামী আন্দোলনসমূহের সমর্থকগণ;
- এই বিশ্বাস করা যে, গণতন্ত্রের জন্য ধর্মকে ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত, মুসলিম বিশ্বের একটি সংখ্যালঘু অংশ এই মত ধারণ করে থাকে।
সালাফি দৃষ্টিভঙ্গি
সালাফি আলেমগণ গনতন্ত্রকে হারাম বলে মত দেন,[৩] কিন্তু ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসার ও ভোট দেওয়ার সুযোগকে বৈধতা দেন[৪] এবং দুই খারাপের মাঝখানে উত্তমকে বেছে নেওয়ার জন্য ভোট দেওয়াকে উৎসাহিত করেন, এসব আলেমদের মধ্যে রয়েছেন শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বায, শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে উসাইমিন, আব্দুল্লাহ আল-গুদাইয়্যান, আব্দুল্লাহ কুয়ুদ, আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, সৌদি আরবের বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমগণঃ গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আশ-শাইখ, শায়খ আবদুল মুহসিন আল-আবাদ, শায়খ ওয়াসিউল্লাহ আব্বাস এবং সৌদি আরবের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমদের ফতোয়া প্যানেল, "ইসলামী গবেষণা ও ফতোয়া জারি করার জন্য স্থায়ী কমিটি", সকলেই মুসলমানদের ভোট দিতে উৎসাহিত করার অনুরূপ আহ্বানের প্রতিধ্বনি করেছেন।[৪০]
ইসলামী রাজনৈতিক তত্ত্বসমূহ
- প্রত্যাখ্যানবাদী ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি, যা সায়্যিদ কুতুব ও আবুল আলা মউদুদী দ্বারা সম্প্রসারিত হয়েছে।
- মধ্যমপন্থী ইসলামী অভিমত, যা মাসলাহা (জনগণের মতামত), আদল (ন্যায়বিচার) ও শূরার উপর গুরুত্বারোপ করে। হাসান আল-তুরাবী, রশিদ আল-গান্নুশি, ও ইউসুফ আল-কারজাভি এই অভিমতকে ভিন্নভিন্নভাবে প্রচার করে থাকেন।
- উদারপন্থী ইসলামী অভিমত যা মুহাম্মাদ আব্দুহুর ধর্মকে বোঝার ক্ষেত্রে কার্যকারণের ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপের দ্বারা প্রভাবিত।
২০শ ও ২১শ শতক
টেমপ্লেট:মূল নিবন্ধ টেমপ্লেট:See
সমসাময়িক আন্দোলনসমূহ
ইসলামের কিছু সাধারণ রাজনৈতিক স্রোতধারার মধ্যে রয়েছে:
- সুন্নি সনাতন মতবাদ
- মৌলবাদী সংস্কারবাদ বা পুনর্জাগরণ
- ইসলামপন্থা বা রাজনৈতিক ইসলাম
- ইসলামের অধীনে উদারপন্থী আন্দোলনসমূহ
সুন্নি ও শিয়াদের মধ্যকার পার্থক্যসমূহ
আরও দেখুন
- রাজনৈতিক ইসলাম
- ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা
- ইসলামবাদ
- সর্ব-ইসলামবাদ
- খেলাফত
- ইসলামি রাজতন্ত্র
- ইসলামী গণতন্ত্র
- ইসলামি সমাজতন্ত্র
- সালাফি আন্দোলন
- সুফি-সালাফি সম্পর্ক
- শিয়া-সুন্নি সম্পর্ক
- ইসলামী অর্থনীতি
- ইসলামী ফৌজদারি (অপরাধমূলক) বিধিমালা
- ইসলামী পারিবারিক আইনশাস্ত্র
- ইসলামী সন্ত্রাসবাদ
- ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতা
- ইস্তেখারা
টীকা
তথ্যসূত্র
টেমপ্লেট:ইসলাম-অসম্পূর্ণ টেমপ্লেট:রাজনীতি-অসম্পূর্ণ টেমপ্লেট:অনুবাদ-অসম্পূর্ণ
উৎস
The following sources generally prescribe to the theory that there is a distinct 20th-century movement called Islamism:
- "Children of Abraham: An Introduction to Islam for Jews" Khalid Duran with Abdelwahab Hechiche, The American Jewish Committee and Ktav, 2001
- "The Islamism Debate" Martin Kramer, 1997, which includes the chapter The Mismeasure of Political Islam
- "Liberal Islam: A Sourcebook", Charles Kurzman, Oxford University Press, 1998
- "The Challenge of Fundamentalism: Political Islam and the New World Disorder", Bassam Tibi, Univ. of California Press, 1998
The following sources challenge the notion of an "Islamist movement":
- Edward Said, Orientalism
- Merryl Wyn Davies, Beyond Frontiers: Islam and Contemporary Needs
- G. H. Jansen, Militant Islam, 1980
- Hamid Enyat, Modern Islamic Political Thought
These authors in general locate the issues of Islamic political intolerance and fanaticism not in Islam, but in the generally low level of awareness of Islam's own mechanisms for dealing with these, among modern believers, in part a result of Islam being suppressed prior to modern times.
আরও পড়ুন
On democracy in the Middle East, the role of Islamist political parties and the War on Terrorism:
- Ayoob, Mohammed. The Many Faces of Political Islam: Religion and Politics in the Muslim World. University of Michigan Press, 2007.
- Blecher, Robert "Free People Will Set the Course of History: Intellectuals, Democracy and American Empire", Middle East Report (March 2003).
- Remarks by the President at the 20th Anniversary of the National Endowment for Democracy, United States Chamber of Commerce, Washington, D.C., "President Bush Discusses Freedom in Iraq and Middle East", 6 November 2003.
- Fisk, Robert "What Does Democracy Really Mean In The Middle East? Whatever the West Decides", The Independent, 8 August 2005.
- Gambill, Gary "Jumpstarting Arab Reform: The Bush Administration's Greater Middle East Initiative", Middle East Intelligence Bulletin (Vol. 6, No. 6-7, June/July 2004).
- Gergez, Fawaz "Is Democracy in the Middle East a Pipedream?", Yale Global Online, April 25, 2005.
- Hayajneh, Adnan M. "The U.S. Strategy: Democracy and Internal Stability in the Arab World", Alternatives (Volume 3, No. 2 & 3, Summer/Fall 2004).
- Marina Ottoway, et al., "Democratic Mirage in the Middle East", Carnegie Endowment for Ethics and International Peace, Policy Brief 20 (October 20, 2002).
- Marina Ottoway and Thomas Carothers, "Think Again: Middle East Democracy", Foreign Policy (Nov./Dec. 2004).
- Raja, Masood Ashraf. "Muslim Modernity: Poetics, Politics, and Metaphysics". Gabriele Marranci, ed. Muslim Societies and the Challenge of Secularization: An Interdisciplinary Approach. Aberdeen: Springer, 2010: 99–112.
- Wright, Steven (2007). The United States and Persian Gulf Security: The Foundations of the War on Terror. Ithaca Press. টেমপ্লেট:ISBN.
বহিঃসংযোগ
- Islam and Politics from the Dean Peter Krogh Foreign Affairs Digital Archives
- Liberal Democracy and Political Islam: The Search for Common Ground
- The Ideology of Terrorism and Violence in Saudi Arabia: Origins, Reasons and Solution
- Evaluating the Islamist movement by Greg Noakes, an American Muslim who works at the Washington Report.
- Muslim scholars face down fanaticism by Aicha Lemsine, an Algerian journalist and author.
- Peter Krogh discuses Islam and politics with John L. Esposito and Mary Jane Deeb টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ on Great Decisions (1994).
- সমাজ সংস্কারে সঠিক আকীদার গুরুত্ব, লেখক: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, সম্পাদক: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া, প্রকাশনায়: Islamic Propagation Office in Rabwah, (রিয়াদ, সৌদি আরব)
- নেতৃত্বের মোহ, মূলঃ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ, অনুবাদঃ আব্দুল মালেক - হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- নেতৃত্ব এক মহান দায়িত্ব - লেখকঃ কামাল উদ্দীন মোল্লা - সম্পাদনাঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া
- ইসলামী আন্দোলনে বিজয়ের স্বরূপ - নাছের বিন সোলায়মান আল-ওমর - অনুবাদঃ আব্দুল মালেক - হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- শরী‘আতের আলোকে জামা‘আতবদ্ধ প্রচেষ্টা - আব্দুর রহমান বিন আব্দুল খালেক - অনুবাদঃ আব্দুল মালেক - হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনের অপরিহার্যতা - হাফেয বিন মুহাম্মাদ আল-হাকামী - অনুবাদঃ মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম - হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- ইকামতে দ্বীন, পথ ও পদ্ধতি - মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব - হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- ভ্রান্তির বেড়াজালে ইকামতে দ্বীন - মুজাফফর বিন মহসিন - বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুব সংঘ
- ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ - খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর - আস সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
- ইসলাম শিক্ষা, প্রথম পত্র, কোর্স কোড HSC 1807, এইচএসসি প্রোগ্রাম, মে ২০১৫, ইউনিট ৮ঃ ইসলামের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়[টীকা ১]
পাদটীকা
- ↑ অধ্যায়টিতে বেশ কিছু দুর্বল, অবিশুদ্ধ ও সম্ভাব্য জাল বলে অধিক আশঙ্কাযুক্ত হাদীসকে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
- ↑ [১] Abu Hamid al-Ghazali quoted in Mortimer, Edward, Faith and Power: The Politics of Islam, Vintage Books, 1982, p.37
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ ৩.০ ৩.১ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ ৪.০ ৪.১ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ [২] Feldman, Noah, Fall and Rise of the Islamic State, Princeton University Press, 2008, p.2
- ↑ الأفعال، للسرقسطي، تحقيق محمد محمد شرف، ومراجعة محمد مهدي علام، القاهرة: الهيئة العامة للكتاب، 1979، ص 3/498
- ↑ ৭.০ ৭.১ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ ৮.০ ৮.১ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
- ↑ ৯.০ ৯.১ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
- ↑ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ নেতৃত্বের মোহ, মূলঃ সালিহ আল মুনাজ্জিদ, অনুবাদঃ আব্দুল মালেক, প্রকাশনীঃ হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃষ্ঠাঃ ৯
- ↑ মুনাফিকী - সালিহ আল-মুনাজ্জিদ - অনুবাদঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক (বাংলা) টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ পৃঃ ৫৩
- ↑ নেতৃত্বের মোহ, মূলঃ সালিহ আল মুনাজ্জিদ, অনুবাদঃ আব্দুল মালেক, প্রকাশনীঃ হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃষ্ঠাঃ ২১
- ↑ ১৫.০ ১৫.১ ১৫.২ উসুলুল ঈমানঃ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঈমানের মৌলিক নীতিমালা, মূল: মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আলেম, অনুবাদ: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, আবুবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া, প্রকাশনীঃ সবুজ পত্র, পৃষ্ঠাঃ ৩৪১-৩৪৭
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
- ↑ R. B. Serjeant, "Sunnah Jāmi'ah, pacts with the Yathrib Jews, and the Tahrīm of Yathrib: analysis and translation of the documents comprised in the so-called 'Constitution of Medina'", Bulletin of the School of Oriental and African Studies (1978), 41: 1-42, Cambridge University Press.
- ↑ See:
- Reuven Firestone, Jihād: the origin of holy war in Islam (1999) p. 118;
- "Muhammad", Encyclopedia of Islam Online
- ↑ Watt, William Montgomery. Muhammad at Medina
- ↑ R. B. Serjeant. "The Constitution of Medina." Islamic Quarterly 8 (1964) p.4.
- ↑ Serjeant (1978), page 4.
- ↑ Lewis, Bernard, The Middle East : a Brief History of the last 2000 Years, Touchstone, (1995), p.139
- ↑ Process of Choosing the Leader (Caliph) of the Muslims: The Muslim Khilafa: by Gharm Allah Al-Ghamdy টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- ↑ Sohaib N. Sultan, Forming an Islamic Democracy টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ
- ↑ Encyclopedia of Islam and the Muslim World (2004), vol. 1, p. 116-123.
- ↑ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
- ↑ Momen, Moojan, Introduction to Shi'i Islam, Yale University Press, 1985 p.192
- ↑ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমানের মৌলিক বিষয়সমূহ (উসূলুল ঈমান), লেখক: মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আলিম, অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া ও মঞ্জুরে ইলাহী, প্রকাশনায়: বাদশাহ ফাহাদ প্রিন্টিং প্রেস, সৌদি আরব। পৃষ্ঠাঃ ৩৮৩
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ টেমপ্লেট:বিশ্বকোষ উদ্ধৃতিটেমপ্লেট:Subscription required
- ↑ Momen, Moojan, Introduction to Shi'i Islam, Yale University Press, 1985 p.194
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
- ↑ টেমপ্লেট:Citation
- ↑ টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি