সুফি–সালাফি সম্পর্ক

সালাফিপিডিয়া থেকে

সালাফিবাদসুফিবাদ নামক ইসলামের দুটি পৃথক ব্যাখ্যাবিশিষ্ট আন্দোলনের মধ্যকার সম্পর্ক হল ঐতিহাসিকভাবে বৈচিত্র্যময় এবং এটি আজকের দিনে মুসলিম বিশ্বের কিছু পরিবর্তন ও দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।[১]

সালাফিবাদ হল ইসলামের আক্ষরিক, কঠোরসনাতন পদক্ষেপ। পশ্চিমা বিশ্বে একে প্রায়শই ওয়াহাবিজিহাদি মতবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[২] সুফিবাদ হল আত্মার পরিশুদ্ধি এর মাধ্যমে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা:) এর নৈকট্য লাভের (তাসাউফ-তাজকিয়া) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। দুনিয়াতে সঠিক ভাবে চলার জ্ন্য এবং জান্নাত বা স্বর্গে উচ্চমর্যাদা অর্জনের জন্য ভালো মুসলিম ও ভালো মানুষ হওয়ার দিকে নজর দেয়।[৩]

কিছু মুসলিম সালাফিবাদ ও সুফিবাদকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মনে করলেও, সালাফিগণ সুফিবাদের প্রতি সমালোচনাসূচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।[৪] বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের মতে, সালাফিগণ "সাধারণত ... ছাড়বিহীনভাবে ভক্তিমুলক সুফি চর্চাসমূহের বিরোধী",[৫] তাদের দাবি হল, সুফিবাদ ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়,[৪] এবং এটি এমন একটি উপাদান যা আধুনিক সময়ে ইসলামকে বিকৃত করছে।[৬] এই দুই আন্দোলনের মাঝে সম্পর্ককে সাধারণত "সাক্ষাত যুদ্ধ",[৭] বা "দলীয় ফাটল" বলে অভিহিত করা হয় যা কার্যত প্রতিটি মুসলিম দেশে[৮] এবং পাশাপাশি পাশ্চাত্যের অভিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়গুলোতে দেখা যায়।[৯]

ইতিহাস[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

সুফিদের বিরুদ্ধে সালাফিবাদীদের বিরোধিতার অধিকাংশই আরোপিত হয় ১৮শ শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব, মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব-এর লেখনী ও তার অনুসারীদের উপর। অনেকে দাবি করেন, তার অনুসারীরা সুফিবাদের প্রতি তুলনামুলক অধিক মিত্রভাবাপন্ন ছিলেন, যা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের পুত্র লিখেছেন,

"আমরা সুফিদের তরীকাসমূহ এবং হৃদয় ও অঙ্গের সাথে সম্পর্কি‌ত পাপসমূহ থেকে অন্তরাত্মার পরিশুদ্ধি (তাজকিয়া) কে অস্বী‌কার করি না, যতক্ষণ পর্য‌ন্ত ব্যক্তি শরিয়াহর নীতি ও পরীক্ষিত-সঠিক পন্থা পূর্ণ‌রুপে অনুসরণ করে।[১০]"

এছাড়াও ইবন তায়মিয়া, যাকে সালাফি মতবাদের অন্যতম পূর্বসূরী বলে মনে করা হয়, তিনি সুফীদের সমালোচনার ক্ষেত্রে তুলনামূলক নমনীয়তা প্রদর্শন করতেন। পাশাপাশি, জুনায়দ বাগদাদীসহ অনেক সালাফি পণ্ডিত সূফীদের প্রশংসা করেছেন।[১১]

১৯৭০-এর মাঝামাঝি সময়ে তেলের দাম তিনগুণ হওয়ার পর এবং সৌদি আরামকো তেল কোম্পানিকে সৌদি আরব ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সালের মাঝে ধাপে ধাপে অধিকরণের পর, সৌদি আরব প্রশাসন তেল রপ্তানির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক আয় লাভ করতে শুরু করে। দেশটি ইসলামী বিশ্বব্যাপী দশ বিলিয়ন ডলার ব্যায় করে নিজ দেশে সমর্থিত ইসলামী আন্দোলনকে প্রচার করার জন্য, যা সালাফি ইসলাম নামে পরিচিত।[১২][১৩][১৪] নিনা ওয়ার্বনারের মতানুসারে, সৌদি আরব সালাফি/ওয়াহাবি বিশেষজ্ঞদের (পাশাপাশি আধুনিকায়ন শক্তির) পেছনে অর্থায়নের ফলে সুফি তরিকাগুলো ১৯৭০ ও ৮০-র দিকে সমূলে বিলুপ্ত হবার সঙ্কটে পড়ে। যদিও তরিকাগুলো তখন থেকে আবারও সঞ্জীবিত হয়ে ওঠে, তারপরও ওয়ার্বনার একবিংশ শতাব্দীকে সুন্নি ইসলাম বিশ্বে এই দুই দলের মাঝে সাক্ষাত সংঘাতের উন্মেষের উষালগ্ন বলে বর্ণনা করেন। [৭]

Islamopedia.org-এর দাবিমতে, ২০১১-সালে সালাফি দলগুলো বিপুলসংখ্যক সুফি মসজিদ ও মাজার ধ্বংস করা ও জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে, যা ছিল দুটি দলের মাঝে "সুদীর্ঘ অবদমিত বৈরিতার পুনর্জাগরণের বহিঃপ্রকাশ"।[১৫] আল-আজহারের প্রধান মুফতি আলি গোমা, যিনি নিজে একজন সুফি মতবাদের অনুসারী, তিনি এই প্রথাকে অগ্রহণযোগ্য বলে এর সমালোচনা করেন।[১৫]

বিশ্বাস ও চর্চায় পার্থক্য[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:আরও দেখুন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুফি বিশ্বাস ও চর্চা আছে যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতাও ব্যাখ্যায় সালাফি ও সুফিদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে:

  • ধর্মীয় তথ্যসূত্র - সূফিবাদে কোন ধর্মীয় তথ্যসূত্র ও তার ব্যাখ্যায় (কোরআন, হাদীস, তাফসীর, ধর্মীয় ঘটনা, ধর্মপণ্ডিতদের জীবনী ও বাণী) সঠিকতার চেয়ে যৌক্তিকতাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়, অপরদিকে সালাফিবাদে কোন তথ্যসূত্র ও তার ব্যাখ্যায় যুক্তিবোধের তুলনায় সঠিকতাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং সনদ, বর্ননাকারী, ইতিহাস ইত্যাদির মাধ্যমে সঠিকতার যাচাইকে কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।
  • আল্লাহর ভৌত বৈশিষ্ট্য - অনেক সুফি বিশ্বাস করে, আল্লাহ অদৃশ্য, নিরাকার, সর্বত্র বিরাজমান ও সকল জীবের ও বস্তুর অন্তরে বাস করেন, আবার অনেক সূফি বলেন, আল্লাহ অদৃশ্য-নিরাকার নন ও সর্বত্র বিরাজমান নন, কিন্তু আল্লাহর ক্ষমতা ও নূর সর্বত্র বিরাজমান। সালাফিগণ বিশ্বাস করে, আল্লাহ দর্শনযোগ্য, সকল জৈবিক সৃষ্টির অজ্ঞাত অনন্য আকৃতিসম্পন্ন ও আরশে সমাসীন, তিনি সর্বত্র বিরাজমান নন, এবং কেয়ামতের বিচারের পর জান্নাতীগণ তাদের চূড়ান্ত পুরস্কার হিসেবে আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে প্রকৃতরূপে দেখতে পাবে।
  • তরিকত/তরিকা (ধর্মীয় আধ্যাত্মিক পন্থা/পাঠশালা) ও ফিকহ-ই-মাযহাব (আইনশাস্ত্রের পন্থা/পাঠশালা) - সুফিগণ তরিকা নামক পন্থায় বিশ্বাসী, যেখানে মুর্শিদ নামক শিক্ষকের কাছে মুরিদ নামক অনুসারীরা শিক্ষাগ্রহণ করে; সালাফিরা তরিকতকে অস্বীকার করলেও তারা বিভিন্ন ফকিহ বা ধর্মীয় আইনবিদের আইনশাস্ত্রকে তাদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে, যা ফিকহী মাজহাব নামে পরিচিত।
  • মারিফাত (গুপ্ত স্বর্গীয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান) - সুফিগণ মারিফাতে বিশ্বাস করে আর সালাফিরা এই ধারণাকে অস্বীকার করে।
  • বেলায়েত (আল্লাহর নৈকট্য/অভিভাবকত্ব) ও কেরামত (অলোকিক নিদর্শন) - সুফিগণ বিশ্বাস করে যে, কুরআন হাদীস অনুসরণের পাশাপাশি, কেরামত লাভও বেলায়েতে উচ্চমর্যাদা লাভের একটি লক্ষণ, সালাফিগণ বিশ্বাস করে যে, কুরআন সুন্নাহ অনুসরণই বেলায়েতের একমাত্র লক্ষণ, এবং কেরামত ও বেলায়েতের কোন সম্পর্ক নেই। সুফিগণ বিশ্বাস করে যে, কেরামতের উপর অলীদের (বেলায়েত অর্জনকারী) নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ আছে, সালাফিগণ বিশ্বাস করে, কেরামতের উপর অলীদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
  • তাজকিয়া (আত্মশুদ্ধি) - সুফি বিশ্বাস দাবি করে যে, তাজকিয়ায় সহায়তা বা মধ্যস্ততার জন্য নির্দিষ্ট কোন প্রশিক্ষকের (পীর বা শাইখ) সাহচার্য বিশেষভাবে প্রয়োজন; অপরদিকে সালাফি বিশ্বাসমতে, আত্মশুদ্ধির জন্য সকল ধার্মিক, পুণ্যবান ও সৎ লোকের সাহচার্য সমানভাবে প্রয়োজন। তবে, এক্ষেত্রে সুফি সালাফি চর্চা এক যে, তারা উভয়েই তাজকিয়ায়ে নফস পুনর্গঠনের ব্যাখায় কুরআনের তথ্যসূত্র অনুযায়ী নফসের তিনটি দশার কথা ব্যাখ্যা করে থাকে।
  • রুহ (আত্মা), নফস (প্রবৃত্তি) ও লাতায়িফ-এ সিত্তাহ (ছয়টি সূক্ষ সত্তা) - রুহ ও নফসের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে, সুফিগণ লাতায়িফে সিত্তাহর ধারণা অনুসরণ করে থাকে, আর সালাফিগণ তা প্রত্যাখ্যান করে।
  • বিদআতের সংজ্ঞা (ধর্মীয় বিষয়ে নব-উদ্ভাবন) — প্রথাগত সূফি পণ্ডিতরা এর অন্তর্ভুক্তিমূলক, সার্বজনীন সংজ্ঞা দাবি করে[১৬] যেখানে সালাফিগণ এর অন্তর্ভুক্তিবিহীন, স্বতন্ত্র ও আক্ষরিক সংজ্ঞা দাবি করে যা মুহাম্মদ কর্তৃক করা হয় নি বা নিশ্চিত হয় নি এমন সবকিছুকে বাতিল করে।
  • ঈদে মিলাদুন্নবী (মুহাম্মাদ -এর জন্মদিন পালন) — সালাফিগণ কর্তৃক বিদআত হিসেবে বিবেচিত।[১৭]
  • উরস (সুফি সাধকদের মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা) — সালাফিগণ কর্তৃক বিদআত হিসেবে বিবেচিত।[১৭]
  • নাশিদ (মুহাম্মদ- এর প্রশংসামূলক কবিতা) — সালাফিগণ বিরোধিতা করে। তবে, কিছু সালাফি বাজনা ছাড়া মুহাম্মদ এর প্রশংসামূলক কবিতাকে অনুমোদিত বলে বিবেচনা করেন।
  • যিকির অনুষ্ঠান (আল্লাহর স্মরণের অনুষ্ঠান) — সালাফিগণ বিরোধিতা করে।[১৮][১৯]
  • তাওয়াসসুল (মধ্যস্থতা) নবী, পুন্যবান বা সুফি সাধকের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট দোয়া পৌছানো, তারা হতে পারে জীবিত, বা মৃত। সালাফিদের মতে," কোন ব্যক্তি এবং আল্লাহর মাঝে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কোন মধ্যস্থতাকারীর উপর নির্ভর করা" হল ইসলাম হতে খারিজ হয়ে যাওয়া দশটি কাজের মধ্যে একটি। কিছু সালাফি বিশ্বাস করেন যে,কোন জীবিত পুণ্যবান ব্যক্তিকে তাওয়াসসুল হিসেবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বলা যেতে পারে।[২০]
  • উসীলা (মুহাম্মদ এর মধ্যস্থতাকারী ক্ষমতাবলী) — সালাফিগণ উসীলাকে শির্কের সমতুল্য মনে করে থাকে। তাদের মতে, নবী মুহাম্মাদ মরণশীল মানুষ তাই তিনি এখন আর জীবিত নেই, তাই তিনি এখন আর কোন পার্থিব জীবনের প্রার্থীর জন্য মধ্যস্ততা করতে সক্ষম নন। সুফিগণ বিশ্বাস করে শারীরিকভাবে পৃথিবীতে উপস্থিত না হলেও নবীগণ, শহীদগণ ও সুফি সাধকগণ মৃত্যুর পরও জীবিত। কিছু সালাফি বিশ্বাস করে কুরআন হাদীসে যে উসীলার কথা বলা হয়েছে তা ভালো কাজের উসীলা বা আল্লাহর গুণবাচক নামের উসীলা।[২০][২১]
  • জিয়ারত (নবী ও সুফি সাধকদের কবর পরিদর্শন) — পীর-আওলিয়ার কবর পরিদর্শনের সুফি চর্চাও সালাফিদের আপত্তির বিষয়। সালাফিরা বিশ্বাস করে যে, একজন মুসলিম কেবল ইসলামের তিনটি পবিত্রতম স্থান ভ্রমণ করতে পারে, এগুলো হল মক্কা, মদীনা ও জেরুজালেম মসজিদ, যেমনটি ইসলামী নবী মুহাম্মাদের হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।
  • ওয়াহদাতুল উজুদ - সুফিরা এ ধারনায় বিশ্বাস করে যে সকল বস্তুই আল্লাহর অস্তিত্বের অংশ, সালাফিরা এ মত প্রত্যাখ্যান করে।
  • হুলুল বা ইত্তিহাদ - সুফিরা জীবাত্মা পরমাত্মার মিলনে বিশ্বাস করে, যা সালাফিরা করে না।
  • মোরাকাবা- সুফিরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য মোরাকাবা নামক ধ্যান করে, সালাফিরা একে বহির্ভূত ও পরিত্যাজ্য বলে মনে করে।
  • ফানা - সুফিরা ফানা হওয়ার মাধ্যমে নিজের দেহে আল্লাহকে অনুভব করে বলে দাবি করে, সালাফিরা একে ভ্রান্ত, শিরক ও কুফর বলে মনে করে।
  • বাকা - সুফিরা আত্মার মুক্তিকে বাকা বলে মনে করে, যা আল্লাহর সঙ্গে দেখা করে আসে বলে তারা দাবি করে, সালাফিরা এ ধারণাকেও ভুল বলে দাবি করে।
  • তানাসুখ - সুফিরা তানাসুখ নামে পুনর্জন্মকে বিশ্বাস করে, সালাফিরা এ ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে।
  • মুজাহাদা- সুফিরা মুজাহাদা নামে শরিয়তের বাইরে নব উদভাবিত পদ্ধতিতে সাধনা করে, সালাফিরা তা করে না।
  • ইসালে সওয়াব - সুফিরা শরিয়ত বহির্ভূত বিভিন্ন পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তিকে সওয়াব পৌছানো যায় বলে দাবি করে, যাকে তারা ইসালে সওয়াব বলে, অপরদিকে সালাফিরা দাবি করে, শরিয়ত অনুযায়ী জীবদ্দশায় সদকায় জারিয়া, নেক সন্তান আর জীবদ্দশার নেক আমল ছাড়া মৃত ব্যক্তির কাছে নতুন সওয়াব পৌছানোর কোন সুযোগ নেই।
  • কাশফ - সুফিরা বিশ্বাস করে যে, কাশফের মাধ্যমে কোরআন ও সুন্নাহর সমান বা অধিক জ্ঞান অর্জন করা যায়, অপরদিকে সালাফরা একে প্রত্যাখ্যান করে।
  • বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য - সুফিরা বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্যকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম বলে মনে করে থাকে, আর সালাফিরা বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্যকে শরিয়তে নিষিদ্ধ বলে দাবি করে থাকে।
  • মাকাম - সুফিরা মাকাম সম্পর্কে তাদের নিজস্ব ধারণায় বিশ্বাস করে, এগুলো হলো তাদের দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ কিছু অনুশীলনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আত্ম-গৌরব এবং শুদ্ধির বিভিন্ন স্তর বা পর্যায়,[২২] কিন্তু সালাফিরা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত অনুশীলন ছাড়া আত্মশুদ্ধির বাকি সকল অভ্যাস প্রত্যাখ্যান করে।

আলেমদের অভিমত[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সুফি-সালাফি(ওহাবী) সম্পর্কের ব্যাপারে তার ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ বইতে বলেন,


দেশ অনুযায়ী সম্পর্ক[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

  1. Akbar Ahmed Journey Into America: The Challenge of Islam, 2010, page 261 "The relationship between Salafis and Sufis, in particular, is complicated and reflects some of the changes and current conflicts in the Muslim world."
  2. Dr Abdul Haqq Baker, Extremists in Our Midst: Confronting Terror, Palgrave Macmillan, 2011
  3. An Introduction the Modern Middle East: History, Religion, Political Economy ... টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ By David S. Sorenson
  4. ৪.০ ৪.১ Salafi Ritual Purity: In the Presence of God By Richard Gauvain, p.305
  5. Princeton Readings in Islamist Thought: Texts and Contexts from Al-Banna to ... By Roxanne Leslie Euben, Muhammad Qasim Zaman
  6. Encyclopedia of Islam By Juan Eduardo Campo, p.601 ("Salafists have ... promote[d] their message that Islam, as well as Muslim society, is in crisis, having been corrupted from within by backward-thinking Ulama, Sufism, a spurious innovations.")
  7. ৭.০ ৭.১ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  8. as of 2007
  9. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  10. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  11. ইবন তাইময়ামাজমুআ ফাতাওয়াখন্ডঃ ৫, পাতা ৪৯১
  12. Kepel, Gilles, Jihad: The Trail of Political Islam Belknap Press of Harvard University Press (31 March 2003)|2002|pp=69–75
  13. How Saudi petrodollars fuel rise of Salafism| france24.com 30 September 2012
  14. documentary The Qur'an aired in the UK, The Qur'an review in The Independent
  15. ১৫.০ ১৫.১ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; violence নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  16. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  17. ১৭.০ ১৭.১ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Mir নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  18. Salafi intolerance threatens Sufis
  19. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  20. ২০.০ ২০.১ স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  21. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; indianmuslims.in নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  22. টেমপ্লেট:Cite book