কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব

সালাফিপিডিয়া থেকে

স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "Infobox" নামক কোনো মডিউল নেই।{{#switch:

 {{#if: 
 | {{{demospace}}}    
 | {{#ifeq:|
   | main
   | other
   }} 
 }}

| main = {{#if:সারস্বত বেদান্ত প্রকাশ সংঘ (প্রয়াগ) |}}{{#if: |}}{{#if: |}}{{#if: |}}{{#if: |}}{{#if: |}} | other | #default = }}

কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব (টেমপ্লেট:Lang-hi) হচ্ছে হিন্দিতে প্রকাশিত একটি বই।[১][২][৩] ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত অধ্যাপক বেদ প্রকাশ উপাধ্যায় বইটি রচনা করেছেন।[৪][৫][৬] "সারস্বত বেদান্ত প্রকাশ সংঘ" (প্রয়াগ, ভারত) ১৯৬০ সালে বইটি প্রকাশ করে।[৭][৮][৯][১০] অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন, তবে বাংলা সংস্করণটিতে লেখকের নূরুল হুদা নামটি সহনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।[১১] বাংলা সংস্করণটি ‘ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়’ হতে প্রকাশিত হয়েছে।[১১]

বইটি আবদুল হক বিদ্যার্থী কাদিয়ানী কর্তৃক লিখিত বই Muhammad in World Scriptures (১৯৩৫) হতে সংকলিত হয়। আবদুল হক বিদ্যার্থী ছিলেন মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব সংক্রান্ত বক্তব্য ও কাদিয়ানী চিন্তাধারা সম্বলিত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লেখক।[১২] এতে ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মাদকে হিন্দুধর্মের কল্কি অবতারের সাথে সাদৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি বেদ ও পুরাণে মুহাম্মাদের ভবিষ্যৎবাণী থাকার দাবি করা হয়েছে। ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েক[১৩][১৪][১৫][১৬], মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী সহ বিভিন্ন ইসলামি বক্তা ও লেখক তাদের তুলনামূলক ধর্মালোচনায় বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা করেছেন[১৭][১৮][১৯] এবং একইভাবে হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামি ভবিষ্যৎবাণী থাকার কথা দাবি করেন।

বিষয়বস্তু[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

সারাংশ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বইটি মূলত অবতার শব্দটি চালু করার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবং তারপরে এর কারণ, বর্ণনা, স্থান ও সময়, সমাজ ও ধর্মের অবক্ষয়ের সময়, শেষ অবতার হিসেবে মুহাম্মদের প্রমাণ, কুরআন ও বেদের শিক্ষা, উপসংহার এবং তথ্যসূত্রের উৎসের দ্বারা শেষ হয়েছে। ভারতীয় পণ্ডিত এম এ শ্রীবাস্তব উল্লেখ করেছেন যে, বেদ প্রকাশ এই বইটিতে মন্তব্য করেছেন,

বইটিতে প্রদর্শিত দাবিকৃত সাদৃশ্য[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বেদ প্রকাশ বইটিতে দাবি করেছেন যে কলি যুগ দ্বারা ইসলামী স্বর্ণযুগকে বোঝায় এবং বর্তমান সময় হল অনুযুগ বা পারমাণবিক শক্তির সময়। ত্রয়ী বইগুলোর অন্য দুটি বইয়ের সাথে বইটিতে দেখানো কল্কি এবং মুহাম্মদের মধ্যে কিছু দাবিকৃত মিল রয়েছে। এগুলো হলো[১][২০][২১][২২][২৩][২৪][২৫]:

  • জন্মস্থান: কল্কি জন্মস্থান শম্ভল গ্রামের সাথে মুহাম্মদের জন্মস্থান মক্কার আক্ষরিক অর্থের সাদৃশ্যতা।
  • পিতামাতার নাম: কল্কির পিতামাতা বিষ্ণুযশ ও সুমতির সাথে মুহাম্মদের পিতামাতা আব্দুল্লাহ ও আমিনার সাদৃশ্যতা দেখানো হয়েছে। ‘আব্দুল্লাহ’ অর্থ ‘আল্লাহর দাস’ এবং ‘আমিনা’ অর্থ ‘শান্ত স্বভাবযুক্ত’; কল্কির পিতামাতার ক্ষেত্রেও একই অর্থ দাবি করা হয়েছে।
  • আচরণগত: বাহন হিসেবে ঘোরার ব্যবহার, অস্ত্রহিসেবে তরবাড়ি ব্যবহার, সর্বশেষ আগমন, অসাধুর দমন, পরাক্রমশালীতা, অল্পভাষণ, দান, কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি আচরণগত দিক দিয়ে উভয়ের সাদৃশ্যতা দেখানো।
  • জন্মসময়: জন্ম তারিখের সাদৃশ্যতা।
  • কল্কির নাম হবে নরশংশ এবং ইলেত, উভয়ের অর্থই প্রশংসিত মানুষ, মুহাম্মদ নামের অর্থও প্রশংসিত মানুষ।
  • কল্কির নাম হবে আহমিদ্ধি, মুহাম্মদের অন্য নাম আহমদ[২৬]
  • কল্কিকে সাবিত্রীদেব হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে যার উল্লিখিত সমস্ত বৈশিষ্ট্য মুহাম্মদের সাথে মিলে যায়।
  • কল্কি হিন্দু চান্দ্র বছরের প্রথম মাস এবং গ্রীষ্মের প্রথম মাসে মাধব মাস এর ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করবেন, মুহাম্মদ একইভাবে আরবি চান্দ্র বছরের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের ১২ তম দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে সময়টি ছিল সৌর সময় অনুসারে গ্রীষ্মকাল।
  • কল্কি শাম্ভলা গ্রামে বা দ্বীপে জন্মগ্রহণ করবেন ("যাকে মৈত্রেয়-এর জন্মস্থান হিসাবেও বর্ণনা করা হয়, গৌতম বুদ্ধ দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা শেষ বুদ্ধ, যাকে লেখক তার ২য় বইয়ে মুহাম্মদ বলেও দাবি করেছেন" নরসংশং এবং অন্তিম ঋষি"), যার অর্থ শান্তির স্থান/গৃহ এবং জল বা সমুদ্রের পাশে একটি ভূমি, হিন্দু ধর্মের বিশ্ব মানচিত্র বিভাগ অনুসারে এর অর্থ আরব এবং এশিয়া ছোটখাটো, মক্কা হ'ল মুহাম্মদের জন্মস্থান যা সমুদ্রের ধারে এবং এটি আরব এবং এশিয়ায় ছোট এবং এর আরেকটি নাম দারুল আমান, যার অর্থ শান্তির স্থান/গৃহ।
  • কল্কির পিতা ও মাতার নাম হবে বিষ্ণু-যশ/বিষ্ণু-ভাগবত এবং সুমতি/সৌম্যবতী, যার অর্থ ঈশ্বরের দাস এবং শান্তিপ্রিয় মহিলা। মুহাম্মদের পিতা ও মাতার নাম আব্দুল্লাহ এবং আমিনা, যার অর্থ ঈশ্বরের দাস এবং শান্তিপ্রিয় মহিলা।
  • কল্কি শম্ভলার প্রধান পুরোহিতের পরিবারে জন্মগ্রহণ করবেন, মুহাম্মদও তৎকালীন মক্কার প্রধান পুরোহিত আব্দুল মুত্তালিব এর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
  • কল্কি তার মায়ের দুধ পান করবে না, মুহাম্মদও তার মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তার পরিবর্তে, তিনি তার পালক-মা হালিমা এর বুকের দুধ পান করেছিলেন।
  • কল্কি চিত্তাকর্ষকভাবে সুদর্শন (অনুপমা কান্তি) এবং অতুলনীয় সুন্দর (অপ্রতীম দ্যুতি) হবেন, মুহাম্মদও সুদর্শন এবং চিত্তাকর্ষক বলেও পরিচিত ছিল এবং তাকে সমসাময়িক আরবের সবচেয়ে সুন্দর মানুষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
  • জন্মের পর কল্কি পাহাড়ে যাবেন এবং পরশুরাম (রাম বা ঈশ্বরের আত্মা, মৌখিকভাবে রাম মানে বিশ্বের ঈশ্বর) থেকে একটি পর্বত থেকে বার্তা পাবেন এবং তারপর তিনি হবেন কৌরব (মাতৃভূমি থেকে পরিযায়ী) এবং উত্তরে যাবেন এবং তার পরে তিনি ফিরে আসবেন, মুহাম্মদ জাবাল আল-নূর পর্বতে জিব্রাইলের মাধ্যমেও ঈশ্বরের বার্তা পেয়েছিলেন, এবং জিব্রাইলের আরেকটি নাম হল রুহুল-আমিন এবং রুহুল-কুদ্দুস। যার অর্থ ঈশ্বরের আত্মা, এবং তিনি মক্কার উত্তরে অবস্থিত মদীনায় হিজরত করেন এবং তারপর বিজয় নিয়ে আবার মক্কায় ফিরে আসেন।
  • কল্কির আটটি ঐশ্বরিক গুণ থাকবে (অষ্টেশ্বর্যগুণ): বুদ্ধিমত্তা, সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, স্মরণ (ঈশ্বরের কাছ থেকে শোনা), শারীরিকভাবে শক্তিশালী, কম বক্তৃতা, দাতব্য, ঈশ্বরের আয়াতের উপদেষ্টা এবং কৃতজ্ঞতা। মুহাম্মদেরও এই আটটি গুণ ছিল।
  • কল্কি উটে চড়বে, মুহাম্মদও উটের পিঠে চড়েছেন।
  • কল্কি দেবী রথে স্বর্গ ভ্রমণ করবেন রথ, মুহাম্মদ মিরাজ বুরাক দ্বারা স্বর্গ ভ্রমণ করেছিলেন।
  • কল্কি অলৌকিক উড়ন্ত সাদা ঘোড়ায় চড়বেন যার নাম 'দেবদত্ত শেতাশ্ব' (অর্থ: ঈশ্বর প্রদত্ত সাদা ঘোড়া) মন্দকে ধ্বংস করার জন্য শিব প্রদত্ত, মুহাম্মদও আল্লাহ প্রদত্ত বুরাক নামে একটি অলৌকিক উড়ন্ত সাদা ঘোড়ায় চড়েছিলেন এবং মন্দ ধ্বংস.
  • কল্কি যুদ্ধ করবে খাকসা মানে তরবারির সাথে, মুহাম্মদও তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করতেন।
  • কল্কি যুদ্ধে লিপ্ত হবেন, মুহাম্মদও যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন।* ঈশ্বর কল্কিকে যুদ্ধে সরাসরি সাহায্য করবেন, বদরের যুদ্ধ মুহাম্মাদকেও ফেরেশতারা সাহায্য করেছিলেন।
  • কল্কি তার চার ভাইয়ের সাহায্যে রাক্ষস কালী]কে পরাজিত করবেন, মুহাম্মদও তার প্রধান চার নিকটতম সঙ্গীর সাহায্যে শয়তানকে পরাজিত করেছিলেন, যা পরে রাশিদুন খলিফা নামে পরিচিত।
  • কল্কি রাজাদের মতো লুকিয়ে থাকা ডাকাতদের ধ্বংস করবে, মুহাম্মাদ সেই সময়ে রাজা এবং নেতাদের নিপীড়কদেরও ধ্বংস করেছিলেন।
  • কল্কি একত্রে লম্বা চুল এবং কামানো মাথার একজন রুদ্র হবেন, একজন কানচালিত এবং একজন পর্বতারোহী এবং পর্বত-ধ্যানকারী, মুহাম্মদের হজ্জের এবং ওমরাহর সময় সাধারণভাবে লম্বা চুল এবং মাথা কামানো ছিল, তিনি ধনুক এবং তীরও ব্যবহার করেছিলেন, তিনি ছিলেন একজন পর্বতারোহী এবং একজন পর্বত-ধ্যানকারী।
  • কল্কির শরীর থেকে সুগন্ধি বের হবে, মুহাম্মদের দেহের গন্ধও মোহনীয় সুবাসের জন্য বিখ্যাত ছিল।
  • কল্কি হবে গোশত ভক্ষক এবং সর্বভুক, মুহাম্মদও মাংস ভক্ষক এবং সর্বভুক।
  • কল্কি একটি বড় সমাজের উপদেষ্টা হবেন, মুহাম্মদও একটি বড় সমাজের উপদেষ্টা ছিলেন।
  • কল্কির একাধিক স্ত্রী থাকবে, মুহাম্মদেরও একাধিক স্ত্রী ছিল।
  • কল্কির নাম হবে ঋষি মমোহো/মামহা[২৭][২৮] এবং তাকে ১০০টি স্বর্ণমুদ্রা, ১০টি হার, ৩০০টি যোদ্ধা ঘোড়া এবং ১০,০০০টি শান্তিপূর্ণ গাভী দেওয়া হবে, মুহাম্মদের ১০০ অনুসারী আত্মশুদ্ধিকারী ছিলেন, যা আসহাব-ই-সুফফা নামে পরিচিত, ১০ জনকে স্বর্গের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল, যা আশারা-ই মুবাশশারা নামে পরিচিত। , ৩০০ অনুসারী ছিলেন বদর যোদ্ধা, যারা ১০০০ শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তাঁর মুসলিম সঙ্গীর সংখ্যা ছিল ১০,০০০।
  • কল্কির অনুসারীরা মুসালায় (মুসলিম নামে পরিচিত হবেন
  • কল্কির অনুগামীরা হবে সর্বভুক
  • কল্কির অনুসারীদের খৎনা করা হবে
  • কল্কির অনুসারীরা দাড়ি রাখবে এবং লোকদের প্রার্থনার জন্য ডাকবে (আযান)
  • কল্কি মূর্তিপূজাকে নির্বাসন দেবেন, মুহাম্মদও মূর্তিপূজাকে নির্বাসন দিয়েছেন।

লেখক দাবি করেছেন, দশাবতার-এ, শাস্ত্রীয়ভাবে উল্লিখিত বুদ্ধ অবতার অবশেষে বৌদ্ধ ধর্ম থেকে গৌতম বুদ্ধ হিসাবে পাওয়া গেছে এবং পরে হিন্দু ধর্মে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, একইভাবে হিন্দু অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এই বইটি পড়ার পরে কল্কি অবতার হিসাবে মুহাম্মদকে মেনে নেওয়া এবং তার আসার জন্য অপেক্ষা না করে তাকে অনুসরণ করা উচিত।

ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

হিন্দু দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বইটির বিষয়বস্তু মূলত কল্কি অবতারকে মুহাম্মাদ বলে দাবি এবং হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামীয় নবী মুহাম্মাদের উপস্থিতি দাবিতে আলোচনা। এজন্য হিন্দু শাস্ত্রের সূত্র হিসেবে কল্কি পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, বেদ প্রভৃতি বেছে নেওয়া হয়েছে। হিন্দু পণ্ডিতগণ এসমস্ত দাবিসমূহের সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেন। একটি ভারতীয় সংগঠন ‘অগ্নিবীর’ এসমস্ত দাবীর সমালোচনা করে। এছাড়া “অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার (২০১৯)” বইতে কল্কি অবতারের সাথে দাবিকৃত সাদৃশ্যতার সমালোচনা পাওয়া যায়।[২৯]

বইটিতে কল্কিপুরাণ হতে কল্কির সাথে যেসমস্ত সাদৃশ্যতা দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আচরণগত সাদৃশ্যতা। যেমন: কল্কির সর্বশেষ আগমনের সাথে মুহাম্মাদ ইসলামের শেষ নবী; কল্কির শ্বেতঅশ্ব ও তরবারি নিয়ে যুদ্ধ করার সাথে মুহাম্মাদের বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধের সাদৃশ্যতা, প্রভৃতি।[৩০] সমালোচকগণ এ ধরনের সাদৃশ্যতার বিপরীতে কল্কির সাথে মুহাম্মাদের বৈসাদৃশ্যসমূহের উদ্ধৃতি করেন।[৩১] আবার বইটিতে আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ করেও বিভিন্ন বিষয়ে সাদৃশ্যতা থাকার কথা বলা হয়। এধরনের আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ দ্বারা চরিত্রদ্বয়ের সাদৃশ্যতা দেখানোকে সমালোচকগণ ভ্রান্তিমূলক এবং অর্থের ভুল প্রয়োগ বলে মনে করেন।

এতে মুঘল ইতিহাস সম্পর্কেও সমালোচনামূলক মন্তব্য রয়েছে (পাঠগুলোতে তাদের "মুকুল" বলা হয়েছে) এবং একজন মহামদের কথা বলা হয়েছে। সমালোচকগণ দেখান, ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত মহামদ হচ্ছেন ‘ম্লেচ্ছ’(=বিদেশি, বর্বর) এবং তিনিই ত্রিপুরাসুর নামক ‘দৈত্য’ বা ‘পিশাচ’ যার পুনর্জন্ম হয়েছে[৩২], আর মুসলমান শব্দের অর্থ ধর্ম নষ্টকারী বলা হয়েছে।[৩৩] এ কে রামানুজন একটি " যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ" গ্রন্থে খ্রিস্ট, মুসারাণী ভিক্টোরিয়ার উল্লেখ পেয়েছেন।[৩৪] প্রতিসর্গপর্ব প্রসঙ্গে হাজরা বলেছেন: ভবিষ্য পুরাণ-এর(এক।১।২-৩) অন্তর্গত হলেও প্রতিসর্গপর্ব আদম, নোয়া, যাকুতা, তৈমুরলং, নাদিরশাহ, আকবর (দিল্লীশ্বর), জয়চন্দ্র এবং আরও অনেকের কথা বলে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কথাও এ গ্রন্থ জানে, এমনকি কলকাতা ও পার্লামেন্টের কথাও উল্লেখ করে।[৩৫]

বইটিতে আরও দাবি করা হয়, বেদে মুহাম্মাদের ভবিষ্যৎবাণীর কথা আছে। যেমন অথর্ববেদের কুন্তপ সুক্তে বিদ্যমান ‘নরাসংশ’, যা যেকোনো প্রসংশিত ব্যাক্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, মুহাম্মাদ শব্দের অর্থ প্রশংসা বলে উক্ত সুক্তে মুহাম্মাদের ভবিষ্যতবাণী বর্ণনার দাবি করা হয়েছে। উক্ত সুক্তে দেখা যায় কোনো ন্যায়পরায়ণ প্রশংসিত রাজার (ইন্দ্রের) উদ্দেশ্যে প্রশংসা করা হয়েছে, যদিও সেগুলোর সাথে মুহাম্মাদের সম্পর্ক পাওয়া যায় না।[৩৬] মূলত মুহাম্মাদের ভবিষ্যতবাণী প্রমাণ করার জন্য প্রেক্ষাপট তৈরির উদ্দেশ্যে মন্ত্রের নির্দিষ্ট কিছু পদকে সূক্ষ্মভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলোর অর্থগত মিল দেখানো হয়েছে। সমালোচকগণ এধরনের অর্থপ্রয়োগকে গুপ্ত প্ররোচনা বলে মনে করেন।

হিন্দু পণ্ডিতগণ বইটির দাবিসমূহের বিরোধিতা করেন। অমৃতের সন্ধানে প্রকাশনী হতে প্রকাশিত “অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার বইতে কল্কি অবতারের সাথে দাবিকৃত সাদৃশ্যতার সমালোচনা পাওয়া যায়। এছাড়া ভারতীয় সংগঠন অগ্নিবীর দাবিটির সমালোচনা করে।[৩৭][৩৮] সমালোচনায় বলা হয়েছে,

  • উভয়ের আচরণগত বৈশিষ্ট্য়ের অনেক বৈসাদৃশ্যতা দেখা যায়। তাছাড়া অর্থগত কোনো সাদৃশ্যতা থাকলেও চরিত্রদ্বয় এক নাও হতে পারে।[৩৯]
  • হিন্দুমতানুসারে কল্কিদেবকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে দেখা হয়।[৪০] তিনি মানব হতে পারেনা।[৩৯]টেমপ্লেট:Rp
  • হিন্দুদের বিশ্বাসানুযায়ী কল্কিদেবের আগমন হবে কলিযুগের শেষে। অর্থাৎ আরও ৪,২৭,০০০ বছর পর।[৪১][৪০] অতিতের কোনো সময়ে কল্কির আবির্ভাব ঘটতে পারে না।[৩৯]টেমপ্লেট:Rp
  • কল্কির পিতা ‘বিষ্ণুযশ’ নামের অর্থ ‘বিষ্ণুর ন্যায় যশ যার’ এবং মাতা ‘সুমতি’ নামের অর্থ ‘সুবুদ্ধি’[৪২]। যার সাথে “আল্লাহর দাস” এবং “শান্ত স্বভাবযুক্ত” অর্থের সাদৃশ্যতা নেই। তাছাড়া মুহাম্মদের জন্মের আগে তার পিতার মৃত্যু হয়।[৪৩] কিন্তু কল্কির ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।[৩৯]টেমপ্লেট:Rp
  • বইটিতে মক্কা স্থানের সাথে কল্কির জন্মস্থান শম্ভল গ্রামের সাদৃশ্য দেখানো হয়েছে যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ করা হয়েছে ‘শান্তির স্থান’। অথচ শম্ভল (শম্ভু + আলয়) শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘কল্যানের নিবাস’। অপর দিকে মক্কা শব্দের আক্ষরিক অর্থ স্পষ্ট জানা যায় না।[৪৪]
  • কল্কি পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী শম্বল গ্রাম হবে নদী, পর্বত, কুঞ্জশোভিত, ষড়ঋতু সমন্বিত সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও বনভূমি পূর্ণ স্থান। বনভূমি ও নদীবিহীন কোনো মরুভূমি অঞ্চল শম্বলগ্রাম হবে না। এছাড়া ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভল গ্রামকে পুরাণে উল্লিখিত গ্রাম বলে হিন্দুবিশ্বাসিগণ মনে করেন।[৩৯]
  • কল্কির জন্ম মাধব (চান্দ্র মাস অনুযায়ী মাঘ) মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথিতে যা চন্দ্র মাসের ২৭ (কৃষ্ণপক্ষের ১৫দিন + ১২দিন) তারিখ হয়। অপরদিকে ‍মুহাম্মদের জন্ম তারিখ নির্ণয়ে মুসলিম সমাজে মতভেদ আছে।[৪৫][৩৯]টেমপ্লেট:Rp
  • পুরাণ অনুযায়ী কল্কি হবেন পিতামাতার চতুর্থ সন্তান।[৪৬] কিন্তু মুহাম্মদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।
  • কল্কির ‘দুই’ জন স্ত্রী ছিলেন ‘পদ্মা’ ও ‘রম্ভা’। পদ্মা হবেন সিংহলের (বর্তমান শ্রীলঙ্কার) রাজকন্যা।টেমপ্লেট:Sfn এর সাথে দাবিকৃত চরিত্রের সাদৃশ্যতা নেই।[৩৯]টেমপ্লেট:Rp

মুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী তার দিরাসাত ফিল ইয়াহুদিয়াত ওয়াল মাসীঈহিয়াত ওয়াদ্দীনিল হিন্দ (دراسات في اليهوديه والمسيحيه واديان الهند, ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম এবং ভারতীয় ধর্ম নিয়ে অধ্যয়ন) বইতে বলেন, হিন্দুধর্মে বর্ণিত ইসলামী ভবিষ্যৎবাণী অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে, একটি হলোইন্দো-আর্য অভিপ্রয়াণ আর্যদের অভিপ্রয়াণের সময়কালটি নবী ইব্রাহিমের আমল ছিল, তার আমলে হয়তো অন্য কোন নবী ভারতে এসেছিল, যার নির্দেশে এই ভবিষ্যৎবাণীগুলো অন্তর্ভূক্ত করা হয়, অথবা হিন্দুদের অনেকে বলেন ঋগ্বেদ তাওরাত থেকে অনুলিপি করা হয়, আরেকটি মত হল, শিবলি কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক সুলতান মুবিনের মতে, এগুলো বানোয়াট ও হিন্দুদের পরবর্তী সংযোজন, মুসলিম শাসণামলে মুসলিম শাসকদের খুশি করার জন্য হিন্দুরা এগুলো অন্তর্ভূক্ত করেছে, যেমন কল্কি পুরাণভবিষ্যপুরাণ, যেগুলোতে ইসলামী বিষয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী আছে, যুক্তি হিসেবে আজমি বলেন, হিন্দুদের অধিকাংশ ধর্মগ্রন্থ খলিফা মামুন বিন আল রশীদের আমলে বায়তুল হিকমাহতে আরবিতে অনূদিত হয়, কিন্তু তখনকার কোন লেখকই তাদের কোন বইতে এ সকল ভবিষ্যৎবাণী সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ করেন নি। আরও উদাহরণস্বরূপ আল বিরুনি রচিত ভারততত্ত্ব ("তাহক্বীক মা লিলহিন্দ মিন ক্বাকুলাত মায়কুলাত ফী আলিয়াকল আউ মারযুলা", تحقيق ما للهند من مقولة معقولة في العقل أو مرذولة) ও আরও দুইটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থের আরবি অনুবাদের ব্যাপারে বলেন, যেগুলোর কোনটিতে এসকল ভবিষ্যৎবাণীর ব্যাপারে কিছু বলা হয় নি। এছাড়া বইটির লেখক বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়ের ব্যাপারে আজমি বলেন, তিনি এ বইতে এসকল ভবিষ্যৎবাণীর সত্যায়ন দাবি করলেও নিজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি।[৪৭][৪৮][১৯]

পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বইটিতে ভবিষ্য পুরাণের প্রতিসর্গ পর্বে বর্ণিত ইব্রাহিমীয় আদম ও হব্যবতির(হাওয়া), নূহ্যের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়েছে। পণ্ডিতদের মতে ভবিষ্য পুরাণের ‘প্রতিসর্গপর্ব’ অংশটি অষ্টাদশ কিংবা ঊনবিংশ শতকের প্রক্ষিপ্ত সংযোজন বলে বিবেচিত হয়।টেমপ্লেট:Sfnটেমপ্লেট:Sfn[৪৯] মরিজ উইন্টারনিৎজ বলেছেন, ভবিষ্য পুরাণ শিরোনামে যেসব পুথি আমাদের হস্তগত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র গ্রন্থে উদ্ধৃত মূল ভবিষ্য পুরাণের সেই প্রাচীন কীর্তি নয়।[৫০][৫১] গুস্তাভ গ্লেসার দেখিয়েছেন, ভবিষ্য পুরাণের টিকে থাকা পাণ্ডুলিপিগুলো মূল ভবিষ্য পুরাণের প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় সংস্করণও নয়। এই পর্বের রচয়িতা ইংরেজি বাইবেল এবং আরবি ইসলামী গ্রন্থ উভয়ই জানেন বলে মনে করা হয়, তবে এখানে ব্যবহৃত অনেক শব্দই আরবি শব্দ ও নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, ইংরেজি উৎস থেকে তেমন ব্যবহৃত হয় নি।

আরবীয় শব্দের উপস্থিতি থেকে বুঝা যায় ভবিষ্য পুরাণের সম্পর্কিত অংশটি চতুর্দশ শতাব্দির পরে ভালভাবে লেখা হয়েছিল এবং অবশ্যই মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের পর এবং ভারতে আরবি উৎস প্রাপ্তির পর রচিত হয়েছিল।[৫২] এজন্য এই পর্বটি বহু পণ্ডিতকে ভবিষ্য পুরাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পরিচালিত করেছে এবং এই পুরাণগুলো প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গৃহীত হয়নি।টেমপ্লেট:Sfnটেমপ্লেট:Sfn এই পুরাণে সন্তে (Sunday থেকে এসেছে), ফার্বরী (ফেব্রুয়ারি থেকে এসেছে), সিক্সটী (Sixty থেকে এসেছে) সহ এধরণের শব্দের ব্যবহার আরও পাওয়া যায়।[৫৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Reflist

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:মুহাম্মাদের চিত্রায়ন

টেমপ্লেট:প্রবেশদ্বার দন্ড

  1. ১.০ ১.১ টেমপ্লেট:Cite book
  2. টেমপ্লেট:Cite book
  3. টেমপ্লেট:Cite book
  4. টেমপ্লেট:Cite newsটেমপ্লেট:Dead link
  5. টেমপ্লেট:Cite news
  6. টেমপ্লেট:Cite news
  7. টেমপ্লেট:Cite book
  8. টেমপ্লেট:Cite book
  9. টেমপ্লেট:Cite book
  10. টেমপ্লেট:Cite book
  11. ১১.০ ১১.১ কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব - প্রকাশক: ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়।
  12. Muhammad in World Scriptures (১৯৩৫) - মাওলানা আবদুল হক বিদ্যার্থী
  13. টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি
  14. Comparison of work of Zakir Naik Salafi and Abdul Haq Vidyarthi Qadiyani - জাহিদ আযিয কাদিয়ানী
  15. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  16. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  17. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  18. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  19. ১৯.০ ১৯.১ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  20. টেমপ্লেট:Cite book
  21. টেমপ্লেট:Cite book
  22. টেমপ্লেট:Cite book
  23. টেমপ্লেট:Cite book
  24. টেমপ্লেট:Cite book
  25. টেমপ্লেট:Cite book
  26. টেমপ্লেট:Cite book
  27. টেমপ্লেট:Cite book
  28. টেমপ্লেট:Cite book
  29. অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার; -২০১৯ (বাংলা) প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন।
  30. কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব - প্রকাশক: ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়।
  31. অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার; প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।
  32. ভবিষ্য পুরাণ, ৩।২১।১১-১২
  33. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  34. For quotations see: Ramanujan, A. K., "Folk Mythologies and টেমপ্লেট:IAST" in: Doniger
  35. For quotation describing the Pratisargaparvan as "practically a new work" see: Hazra, Rajendra Chandra, "টেমপ্লেট:IAST", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.
  36. ড. তুলশিরাম শার্মা (লন্ডন ইউ কে.); অথর্ববেদ (ইংরেজি ভাষা); প্রকাশক- Vijaykumar Govindram Hasanand
  37. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  38. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  39. ৩৯.০ ৩৯.১ ৩৯.২ ৩৯.৩ ৩৯.৪ ৩৯.৫ ৩৯.৬ অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার; প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।
  40. ৪০.০ ৪০.১ B-Gita 8.17 টেমপ্লেট:ওয়েব আর্কাইভ "And finally in Kal-yuga (the yuga we have now been experiencing over the past 5,000 years) there is an abundance of strife, ignorance, irreligion and vice, true virtue being practically nonexistent, and this yuga lasts 432,000 years. In Kali-yuga vice increases to such a point that at the termination of the yuga the Supreme Lord Himself appears as the Kalki avatara"
  41. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  42. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  43. টেমপ্লেট:Citation
  44. টেমপ্লেট:Cite book
  45. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  46. কল্কি পুরাণ ২।৩১
  47. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  48. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  49. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  50. For statement that the extant text is not the ancient work, see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  51. For the quotation in টেমপ্লেট:IAST attributed to the টেমপ্লেট:IAST not extant today, see: Winternitz, volume 1, p. 519.
  52. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  53. টেমপ্লেট:সাময়িকী উদ্ধৃতি