শফিউর রহমান ফারাবী
ফারাবি শফিউর রহমান বা শফিউর রহমান ফারাবী (জন্ম ১৯৮৬) হলেন বাংলাদেশী একজন বাঙালী অনলাইন ইসলামি ব্লগার, কর্মী এবং লেখক।[১][২] তিনি হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের সদস্য বলে দাবি করা হয়।[৩][৪] তিনি ব্লগে এবং ফেসবুকে ইসলামবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারের বিরুদ্ধে লিখতেন যারা ইসলামের সমালোচনা ও ব্যঙ্গ করতেন।[৫][৬]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
২৯ বছর বয়সী শফিউর রহমান ফারাবীর বাবার নাম মৃত ফেরদৌসুর রহমান। তিনি ১৯৮৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার বড়ভিলা কুমারশীল মোড় কালাইশ্রীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে, তিনি রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ জেলার, কেন্দুয়া জয়হরি স্কাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২০০১ সালে এসএসসি এবং ২০০৫ সালে নটরডেম কলেজ, ঢাকা থেকে এইচএসসি পাস করেন। মানসিক সমস্যার কারণে তার পড়াশোনা দুই বছর বন্ধ ছিল।[৭] ২০০৫-২০০৬ সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় ভর্তি হন। ২০১৫ সালে কারাগারের আগে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।[৭]
ব্লগিং[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
২০১০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কর্তৃপক্ষের বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনায় ২৪ শিক্ষার্থীসহ ফারাবীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।[৭] এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ফারাবী। এমন ঘটনার জেরে এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।[৭] এ ছাড়া তিনি তার আরেক ফেসবুক বন্ধুকে অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তাদের পরিচয় দিয়ে লিখেছেন, এটি অভিজিৎ রায়, তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ ও তার মেয়ের ছবি। তারা সবাই আমেরিকায় থাকে।[৭] এর আগে ব্লগার রাজিব হত্যার পর ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেপ্তার হন ফারাবী। ইসলামপন্থীদের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত ওয়েবসাইট 'রকমারি ডটকম' থেকে অভিজিৎ রায়ের বই সরিয়ে ফেলারও হুমকি দেন ফারাবী।[৭] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারাবী র্যাবের গোয়েন্দাদের আরো জানায়, তিন-চার বছর ধরে সে বিভিন্ন ব্লগে ইসলামী চিন্তাধারা নিয়ে লেখালেখি করে বেশ জনপ্রিয়। এরই মধ্যে তিনি তার আদর্শের বিরুদ্ধে কথিত নাস্তিক ব্লগারদের বিভিন্ন ব্লগের বিরোধিতা শুরু করেন।[৭] এভাবেই থাবা বাবা (ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার), আসিফ মহিউদ্দিন, অভিজিৎ রায়, তসলিমা নাসরিন, দিগম্বর-পয়গম্বর (নগ্ন নবী), সন্তুনু মহাপাত্র, অগ্নিবীণ, আল্লামা শয়তান (সম্মানিত শয়তান) (মশিউর রহমান), সন্তুনু আদিম, পাঙ্গন দেবতা এবং হিন্দু যোদ্ধা।[৭]
মামলা[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
2016 সালে, তাকে অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়,[৮][৯] ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “অভিজিত আমেরিকায় থাকেন। এখন তাকে হত্যা করা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশে ফিরলেই তাকে হত্যা করা হবে।”[১০] তিনি ২০১২ সালে শেখ হাসিনাকে নাস্তিক বলেও দাবি করেছিলেন।[১১] ফারাবী র্যাবকে আরও জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভিজিৎ নিহত হওয়ার দিন বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিলেন এবং ফেসবুকে চ্যাট করছিলেন। এ সময় তার ফেসবুক বন্ধুরা মন্তব্য করে টিভি দেখতে বলেন। দু-একদিন পর অভিজিতের হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার মা তাকে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন।[৭] অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছিল এবং ২০২২ সালের মার্চে এটি থেকে মুক্তি পান।[১২] ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ সালে, অভিজিৎ রায় হত্যার মামলায় তিনি ৭ বছরের জেল পান।[১৩][১৪]
সমর্থন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
বাংলাদেশী ইসলামপন্থীরা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার মুক্তি দাবি করে।[১৫][১৬] শায়খ আহমদুল্লাহ দাবি করেছিলেন যে, ফারাবির মতো কাউকে হত্যার সাথে জড়িত প্রমাণ না করে হুমকি দেওয়ার জন্য তাকে কারাদণ্ড দেওয়া যৌক্তিক নয়, এবং ফারাবি অভিজিতকে হুমকি দিয়েছিলেন কারণ অভিজিৎ মুহাম্মাদ (সা:)-এর স্ত্রী মারিয়া আল-কিবতিয়াকে চরম ভাষায় উপহাস করেছিলেন।[১৭]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ ৭.০ ৭.১ ৭.২ ৭.৩ ৭.৪ ৭.৫ ৭.৬ ৭.৭ ৭.৮ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite news
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web
- ↑ টেমপ্লেট:Cite web