হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক

সালাফিপিডিয়া থেকে
Sharif Uddin (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:০৬, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ ("{{ইসলাম}} {{হিন্দুধর্ম}} {{Islam and other religions}} '''হিন্দু–মুসলিম সম্পর্ক''' অনুসন্ধান ও গবেষণা শুরু হয় ৭ম শতকের প্রথম দিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামিক প্রভাব বিস্তারের..." দিয়ে পাতা তৈরি)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

টেমপ্লেট:ইসলাম টেমপ্লেট:হিন্দুধর্ম টেমপ্লেট:Islam and other religions হিন্দু–মুসলিম সম্পর্ক অনুসন্ধান ও গবেষণা শুরু হয় ৭ম শতকের প্রথম দিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামিক প্রভাব বিস্তারের সূচনা লগ্ন থেকে। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম ধর্মের দুটি হলো হিন্দুধর্ম এবং ইসলাম ধর্ম[১]। হিন্দুধর্ম, ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দু মানুষের জীবনের সামাজিক-ধর্মীয় উপায়। হিন্দু ধর্ম প্রকৃতপক্ষে একেশ্বরবাদী হলেও এখানে বহু দেবদেবীর উপাসনা রয়েছে। এই দেবদেবী এক ঈশ্বরের বিভিন্নরূপ বা গুণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ধর্মে ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ নাম ”ও৩ম” (সংস্কৃত: ॐ) ‍বলা হয়। ইসলাম ধর্ম যথাযথভাবে একেশ্বরবাদী ধর্ম যেখানে একমাত্র উপাস্য হলেন আল্লাহ (আরবি: الله স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "lang" নামক কোনো মডিউল নেই।: দেখুন ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর)। সর্বশেষ ইসলামি নবী মুহাম্মাদ, যিনি কুরআনের মাধ্যমে মুসলমানদের ইসলামি রীতি-নীতি শিক্ষা দেন।

তুলনামুলক সাদৃশ্য ও পার্থক্য চিহ্নিতকরণ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

ঈশ্বর ও দেবতা প্রসঙ্গ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:মূল

ঈশ্বর[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

ইসলামে কঠিনভাবে একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করা হয় এবং ঈশ্বরের (আল্লাহর) একক অস্তিত্ব ও পূর্ণ ক্ষমতায় বিশ্বাস করা ইসলামের একটি মৌলিক শর্ত যাকে তাওহিদ বা একত্ববাদ বলে।

অপরদিকে, হিন্দুধর্মে ঈশ্বরকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। বহুদেবতার পূজা প্রচলিত থাকলেও দেবতাদের একাত্ববাদের ধারণাটি ঈশ্বর সম্বন্ধে হিন্দুধর্মে একটি প্রাচীন দর্শন। হিন্দু শাস্ত্রগুলোতে (যেমন: বেদ, উপনিষদে) ঈশ্বরের একক অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে।

ফেরেশতাগণ - দেবদেবীগণ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের মতই ইসলাম ধর্মও ফেরেশতার অস্তিত্বে বিশ্বাসী যারা হলেন আল্লাহর সৃষ্ট স্বর্গীয় দূত। ইসলাম ধর্মে আল্লাহ ব্যতিত কোন কিছুর উপাসনা করা নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে ইবলিশ হল জ্বিন প্রজাতি হতে জন্ম নেয়া, মানুষের মনে কুমন্ত্রণা প্রদানকারী শয়তান শ্রেণীর নেতা।

অপরদিকে হিন্দুধর্মে ঈশ্বরের ধারণা আব্রাহামীয় ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পূর্ণ এক নয়। ব্রড বলেন যে আব্রাহামীয় ধর্মে “স্রষ্টা, জীব- অস্তিত্বের থেকে একটি পৃথক সত্ত্বা”। কিন্তু হিন্দুমতে ঈশ্বর, ব্রহ্মাণ্ড, মানুষ ও অন্যান্য জীবজগৎ একই সূত্রে গ্রথিত। ঈশ্বর আত্মারূপে সকল জীবের মাঝেই অবস্থান করেন। এই আত্মা শাশ্বত ও পরম সত্তা।[২][৩] সেই ঈশ্বরের শক্তির বিভিন্ন প্রকাশকে দেবতা বলা হয়। হিন্দুধর্মে দেবতা পূজার দ্বারা সমস্ত শক্তির রূপক সাধানাকে আধ্যাত্মিক সাধনার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ সমস্ত শক্তি এক ঈশ্বর হতে প্রকাশিত।

ইসলামে শয়তানের অস্তিত্বে বিশ্বাসের মতই হিন্দুধর্মেও অসুরে বিশ্বাস করা হয়। শ্রীমদ্ভাগবতগীতার মতে জীবজগতের সকল প্রাণীর মধ্যেই সাত্ত্বিক প্রবৃত্তি ও আসুরিক প্রবৃত্তি বিদ্যমান।[৪][৫] গীতার ষোড়শ পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সম্পূর্ণ সাত্ত্বিক ও সম্পূর্ণ তামসিক এই দুই চরিত্রই বিরল। অধিকাংশ মানুষই আসলে বহু গুণাদোষের সন্নিবেশ।.[৪] জিনি ফাউলারের মতে কামনা বাসনা লোভ আবেগকে গীতায় সাধারণ জীবনের অঙ্গ বলেই ধরা হয়েছে। কিন্তু যখন তারা কাম ক্রোধ হিংসা মাৎসর্য ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক প্রবৃত্তিতে বদলে যায় তখন সাধারণ মানবিক প্রবৃত্তিগুলোর আসুরিকতায় উত্তরণ ঘটে।[৪][৫]

মনীষীগণ - নবীগণ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:আরও দেখুন ইসলাম ধর্মে নবী হলেন পৃথিবীতে বিভিন্ন যুগে এবং স্থানে কোন জাতির জন্য সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক মনোনীত পথপ্রদর্শক যিনি উক্ত জাতিকে সৃষ্টিকর্তা মনোনীত নির্দেশ ও বিধিবিধান প্রদানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ধর্মীয় উৎস অনুসারে সৃষ্টিকর্তা মোট এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবীরাসূল পাঠিয়েছেন যাদের মাঝে প্রথম নবী হলেন আদম এবং সর্বশেষ নবী ও রাসূল হলেন মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম), যাকে তার সময়কাল থেকে পরবর্তী সকল যুগের ও স্থানের মানুষের জন্য চূড়ান্ত নবী ও রাসূল হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

হিন্দু ধর্মেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্কারক এসেছেন যাদের মাধ্যমে হিন্দুধর্ম ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। এদেরকে মনীষী বা মুনি বলা হয়। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মুনি-ঋষির নাম হচ্ছে, ব্যসদেব, বাল্মিকী মুনি, অগস্ত্য, কপিল মুনি প্রভৃতি। বৈদিক যুগের মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিদের মধ্যে নারী ঋষির কথা জানা যায়। এদের ঋষিকা বলা হয়। বাগম্ভরণী, সূর্য্য সাবিত্রী, ঘোষা কাক্ষীবতী, অদিতি দক্ষিণানি, দক্ষিণা প্রজাপতি প্রভৃতি ঋষিকাদের মাঝে অন্যতম।[৬] এছাড়াও অবতার রুপে দেবদেবীগণও মানব সমাজ সংস্কারে অবতীর্ণ হন, যেমনঃ দশাবতার

গ্রন্থাবলি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মের মূল ও প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে বেদ। বেদকে ঈশ্বরীয় বাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। সনাতনীরা বেদকে "অপৌরুষেয়" ("পুরুষ" দ্বারা কৃত নয়, অলৌকিক) এবং "নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য" (যা সাকার নির্গুণ ঈশ্বর-সম্বন্ধীয় এবং যার কোনও রচয়িতা নেই) মনে করেন। সৃষ্টির আদিতে ঈশ্বর চারজন ঋষির হৃদয়ে বেদ প্রকাশ করেন। বেদকে শ্রুতি (যা শ্রুত হয়েছে) সাহিত্যও বলা হয় কারণ পূর্বে বেদ লিখিত কোনো বই বা পুস্তক আকারে ছিল না, তা বৈদিক ঋষিরা মুখে মুখে মন্ত্র উচ্চারণ করে তাদের শিষ্যদের শোনাতেন আর শিষ্যরা শুনে শুনেই বেদ অধ্যায়ন করতেন। উপনিষদ, গীতা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থগুলোর মাঝে অন্যতম। আর মহামনীষীদের বাণীগুলোকে যে গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে স্মৃতি বলা হয়।[৭][৮][৯]

ইসলামধর্মে কুরআন হল প্রধান ধর্মগ্রন্থ যাকে ঈশ্বরের বাণী হিসেবে গণ্য করা হয়[১০], যেটি ঈশ্বরের কাছ থেকে স্বর্গীয় দুত বা ফেরেশতা জিবরাঈল এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রধান নবী মুহাম্মাদের কাছে প্রেরিত আল্লাহর (ইসলাম ধর্মে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নাম) বাণী হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া, হিন্দুধর্মের স্মৃতির মত ইসলাম ধর্মেও নবী মুহাম্মাদ এর বাণীসমূহ যা হাদীস নামে পরিচিত, তা প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বিবরণ অনুযায়ী মুহাম্মাদ -এর মৃত্যূর পর বিভিন্ন গ্রন্থ আকারে উৎসসহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই গ্রন্থগুলোও ইসলামি বিধিবিধানের উৎস।

স্থাপত্য এবং নামকরণ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

আদর্শ ও নৈতিক গুনাবলি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মে মানবজীবনের উদ্দেশ্য চারটি। এই চারটি উদ্দেশ্যই পুরুষার্থ নামে পরিচিত।[১১] চারটি পুরুষার্থের নাম হল:

  • ধর্ম: "(ধর্মীয় ও সামাজিক) নীতিবোধ, আধ্যাত্মিক ও আনুষ্ঠানিক কর্তব্যকর্ম।
  • অর্থ: "(জাগতিক ও অর্থনৈতিক) প্রগতি।"
  • কাম: "(পার্থিব) সুখ।"
  • মোক্ষ: "(আধ্যাত্মিক) মুক্তি।"

ইসলাম ধর্মে আদর্শ ও নৈতিক গুনাবলিকে আখলাক বলা হয়।

ধর্মীয় আচার-রীতিনীতি, প্রার্থনা ও উপবাস পদ্ধতি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মের অনুসারীগণ দৈনিক নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে তাদের উপাস্য দেব-দেবীগণের প্রতিমূর্তির মাধ্যমে অথবা প্রতিমাবিহীন উপাসনা ও ভক্তিমূলক পূজা করে থাকে। তাদের দৈনন্দিন উপাসনার মধ্যে আরেকটি প্রচলিত রীতি হল অগ্নির মাধ্যমে উপাসনা, এতে অগ্নিবেদীতে ঘি তুষ প্রভৃতি আহুতি দিয়ে স্রষ্টার নিকট দেহ ও মনের আত্মিক মুক্তি সন্ধান করা হয়। এছাড়াও নিত্য তিনবার, কারো মতে দ্বিসন্ধ্যায় ঈশ্বর এর কাছে প্রার্থনা ও ধ্যান করা আবশ্যক। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মে সালাত বা নামাজের মাধ্যমে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমিকভাবে পাঁচবার আল্লাহ বা ঈশ্বরকে স্মরণ করা হয়।

খাবার[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

ইসলাম ধর্ম শূকর ছাড়া[১২] অন্যান্য চারণপশুর মাংস খাওয়া অনুমোদন করে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পুরণ হতে হবে যা সুরা মায়েদাহতে দেওয়া আছে, প্রাণীটি চতুষ্পদী ও তৃণভোজী হতে হবে এবং তা আল্লাহর নামে জবাই হতে হবে জবাইয়ের সময় কণ্ঠস্থ রগ (শিরা,রক্তনালিকা) বিচ্ছিন্ন করে রক্ত প্রবাহিত করতে হবে, তবেই তা হালাল হবে।

বৈদিক সনাতন ধর্মের অনুসারীদের সাত্ত্বিক আহারী হতে বলা হয়েছে। বৈদিক সনাতন মতে প্রাণীহত্যা ও প্রাণীজ মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। যদিও হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীতে এটি নিয়ে দ্বিমত থাকার কারণে অনেকেই প্রাণীজ আমিষ ভক্ষণ করে, বিশেষত ভারতের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে। পদ্মপুরাণে "সুরাপান"-কে দ্বিতীয় মহাপাপ হিসেবে ধরা হয়। ইসলামেও মদ্যপান স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। গো মাংস ইসলামে বৈধ হলেও সনাতনধর্মাবলম্বীদের কাছে গোমাংস ভক্ষণ একটি অতি গর্হিত অপরাধ। কারণ সনাতন ধর্মে গরুকে সমৃদ্ধির প্রতীক এবং দুগ্ধদানের কারণে দুগ্ধদাত্রী মায়ের সমতুল্য মনে করা হয়। ইসলামে মানবীয় সম্পর্কের সাথে অন্যান্য জীবের সম্পর্কের স্পষ্ট পার্থক্য করা হলেও হিন্দুধর্মে মানব, প্রাণী ও উদ্ভিদ সহ সকল জীবকে ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হয়।

একজীবন - পুনরায় দেহ ধারণ(পুনর্জন্ম)[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

ইসলাম ধর্মমতে মানবজীবন একটাই ও একবারই আসে। এতে পুনরায় দেহ ধারণ বলে কিছু নেই। শুধু কিয়ামতের দিন সবাইকে পুনরুত্থিত করা হবে ও বিচার করা হবে। জীবিত থাকা অবস্থায় কৃতকর্মের উপর ভিত্তি করে মৃত্যুপরবর্তী জীবনে প্রতিদান দেওয়া হবে যা অনন্তকালের জন্য প্রাপ্য হবে।

অন্যদিকে হিন্দুধর্মমতে, মানুষ মৃত্যুর পর কর্মফল ভোগের জন্য পুনরায় দেহ ধারণ করে পৃথিবীতে আসে। এই ধারণা পুনর্জন্ম নামে পরিচিত। মানুষ বা প্রাণীর শুধু দেহের মৃত‍্যু হয়, আত্মার নয় কারণ সনাতন বা হিন্দুধর্মানুযায়ী জীবের আত্মা চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর বা নিত্য পদার্থ। এবং মোক্ষ প্রাপ্তির মাধ্যমে জন্মচক্রের অত্যন্ত(অতি+অন্ত) সমাপ্তি ঘটে।

সুফিবাদ ও হিন্দুধর্ম[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:মূল টেমপ্লেট:আরও দেখুন আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া তার হিন্দুসিয়াত ওয়া তাসুর বইতে বলেন, আরব ও পাশ্চাত্য বহু একাডেমিকের মতে, ইবনে আরাবী, জালালুদ্দিন রুমি, বায়োজিদ বোস্তামি, আব্দুল কাদির জিলানি, মনসুর হাল্লাজ সহ আরও বহু প্রাথমিক সময়ের সুফি সাধক ইন্দো-ইউরোপীয় অর্থাৎ ভারতীয়, ইরানীয় ও পাশাপাশি গ্রিক ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মদর্শনের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত ছিলেন, এই দাবির পক্ষে যেসব একাডেমিক, তারা হলেন, আল বিরুনি, ইহসান ইলাহী জহির, আনওয়ার আল-জুন্দি, উইলিয়াম জোন্স, আলফ্রেড ক্র্যামার, রোজেন, গোল্ডজিহার, মোরেনো, রবিন হর্টন, মনিকা হর্স্টমান, রেনোল্ড নিকোলসন, রবার্ট চার্লস জাহনার, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী ও আলি জায়ুর।[১৩]

আল বিরুনি তার তাহক্বীক মা লিলহিন্দ মিন মাকুলাত মাকুলাত ফী আলিয়াক্বল'আম মারযুলা (ভারতের বক্তব্য নিয়ে সমালোচক গবেষণাঃ যৌক্তিকভাবে গ্রহণীয় নাকি বর্জনীয়) বইয়ে হিন্দুধর্মের কয়েকটি বিষয়ের সঙ্গে সুফিবাদের মিল দেখিয়েছেন, আত্মা]র সাথে রুহ, তানাসুখের সাথে পুনর্জন্ম, ফানাফিল্লাহর সঙ্গে মোক্ষ, ইত্তিহাদের সাথে জীবাত্মায় পরমাত্মায় মিলন, হুলুলের সাথে নির্বাণ, ওয়াহদাতুল উজুদের সাথে বেদান্ত, সাধনার সঙ্গে মুজাহাদা।[১৩]

সুফি ধর্মবিদ মার্টিন লিংস বলেছেন,


জার্মান বংশোদ্ভূত ভারতবিদ মনিকা বোহ'ম-তেতেলবাখ বা মনিকা হর্স্টম্যান দাবি করেন যে, পাচটি যুক্তির দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে সুফিবাদের উৎস হল ভারত ও হিন্দুধর্ম, যেগুলো হলোঃ প্রথমত, অধিকাংশ প্রাথমিক সুফি ছিল অনারব, যেমন ইব্রাহিম বিন আদহাম, ও শাকিক আল বলখি, বায়েজিদ বোস্তামি, ইয়াহিয়া ইবনে মুয়ায আল-রাযী, দ্বিতীয়ত, সুফিবাদ প্রথম উৎপত্তি ও বিকাশ লাভ করে ভারতের নিকটবর্তী ইরানের বর্তমান খোরাসান (পূর্বনাম পার্থিয়া, যাকে গ্রিকরা ডাকতো আরিয়ানা বা আর্যদের অঞ্চল নামে) প্রদেশে, তৃতীয়ত, ইসলাম আগমনের পূর্বে ইরানের পার্শ্ববর্তী বর্তমান তুর্কিস্তান ছিল প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ধর্ম ও সংষ্কৃতির মিলনকেন্দ্র, চতূর্থত, মুসলিমরা নিজেরাই তাদের ধর্মে ভারতীয় প্রভাবের কথা স্বীকার করে, পঞ্চমত, প্রথম সুফিবাদ বা ইসলামী রহস্যবাদ এর অভ্যাস ও পদ্ধতির দিক থেকে ভারতীয় ছিল, কোন কারণ ছাড়াই নিজেকে পূর্ণরূপে সপে দেওয়া এবং নিজেদের সফরকে নির্জনতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য রহস্যবাদকে ব্যবহার করা এবং একে মহিমান্বিত করে তাকে ব্যবহার করা হল মূলত ভারতীয় মতবাদ হতে উৎপন্ন।[১৩]

ওয়াহদাত আল-উজুদের সূফী ধারণা অদ্বৈত বেদান্তে দাবি করা বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির কাছাকাছি।[১৪] জিয়াউর রহমান আজমি দাবি করেন, ওয়াহাদাতুল উজুদের উৎপত্তি হিন্দুধর্মের বেদান্ত দর্শন থেকে, যা ইবনে আরাবি ভারত সফরের পর তার মক্কা বিজয় গ্রন্থে লিখেছেন, যা খলীফা আল মামুনের শাসনামলে আরবিতে অনূদিত হয় এবং মনসুর হাল্লাজ অসংখ্যবার ভারত সফরের সময় বিভিন্ন গ্রন্থে এই ধারণার কথা লিখেছেন।[১৩] ধ্যানরত অবস্থায়, হাল্লাজ উচ্চারণ করতেন "أنا الحق" ("আনাল্ হাক্ক") "আমিই পরম সত্য", যা তিনি নিয়েছিলেন ভারত ভ্রমণের সময় মহাবাক্য দর্শনের একটি বাক্য "অহম ব্রহ্মাস্মি" (अहम् ब्रह्मास्मि) বা "আমিই ব্রাহ্মণ বা পরমাত্মা" থেকে।[১৫]

হিন্দুধর্মের ভক্তিবাদ, ইন্দো-ইউরোপীয় বৈরাগ্যবাদ ও আঞ্চলিক মুনি, ঋষি, ফকির তথা বাউল দর্শন সুফি মতবাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট।

সুফি ইসলামে ফানার ধারণাকে হিন্দুধর্মের সমাধির সাথে তুলনা করা হয়েছে।[১৬]

বায়েজিদ বোস্তামী ইসলামের সুফি সংস্করণে মোক্ষনির্বাণ তত্ত্বকে বাক্বা নামে আমদানি করেছেন।[১৭]

সুফিবাদের মুরাকাবাকে হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের ধ্যানের সাথে তুলনা করা হয়।[১৮] গোল্ডজিহার ও নিকোলসন মনে করেন যে, সুফিরা তাদের জুব্বা পরার রীতি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে, যাকে সুফিরা ইসলামী নবী মুহাম্মাদের আদর্শ বলে দাবি করে থাকে।[১৮]

হিন্দুধর্মের মতো সুফিগণও পুনর্জন্মকে সমর্থন করে থাকে।

ভারতে মুসলিম সুফির পাশাপাশি হিন্দু সুফি সাধকগণও বিদ্যমান রয়েছে।

পারস্পারিক দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

হিন্দুধর্ম সম্পর্কে মুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

জিয়াউর রহমান আজমী তার ফুসুলুন ফি আদিয়ানিল হিন্দি, আল-হিনদুসিয়াতু, ওয়াল বুজিয়াতু, ওয়াল জাইনিয়াতু, ওয়াস সিখিয়াতু ও আলাকাতুত তাসাওউফি বিহা (হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্ম তথা ভারতীয় ধর্মসমূহের সমীক্ষা ও সুফিবাদের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক') গ্রন্থে বলেন, ভারতে মহেঞ্জোদারোতে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে কোল জাতি বাস করতো, তুরানিরা এসে তাদের পরাভূত করে তাদের সাথে মিশ্রিত হলে দ্রাবিড় জাতির উদ্ভব হয়, যারা সিন্ধুতে মহেঞ্জোদারোহরপ্পা শহরে নিবাস তৈরি করে এবং এরপর তা থেকে দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে পড়ে, এবং তারা তাদের ভাষা অনুযায়ী কন্নড় মালয়ে তামিল ও তেলেগু এই চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ সময় কয়েক শতক ধরে তারা সিন্ধুনদের পূর্বদিক থেকে আসা আর্যদের সাথে সংঘর্ষ চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আর্যরা বিজয় লাভ করলে দ্রাবিড়সহ স্থানীয় অধিবাসীরা তাদের আনুগত্য গ্রহণ করে এরপর আর্যরা সমাজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো শুরু করে এবং ভারতবর্ষের অধিবাসীরা বৈদিক সমাজে প্রবেশ করে। আজমি প্রত্নতাত্ত্বিক সাদৃশ্যের পাশাপাশি সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষার ভাষা তাত্ত্বিক মিলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আর্যরা ইউরোপিয়ান তথা পারস্য বংশোদ্ভূত ছিল এবং তিনি ভাষাবিজ্ঞানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সংস্কৃত ভাষাভাষী আর্য ও ফারসি ভাষাভাষীরা একই ভূখণ্ডের বাসিন্দা ছিল, এবং তারা পারস্য থেকে এসেছিল। এরপর আর্যরা ভারতের স্থানীয় অধিবাসীদের মর্যাদার ক্রমানুসারে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করে, এগুলো হলো ব্রাহ্মণ (আর্য পুরোহিত বা ধর্মগুরু), ক্ষত্রিয় (রাজপুত যোদ্ধা বা মারাঠা), বৈশ্য (তুরানি দ্রাবিড় ব্যাপারী বা ব্যবসায়ী ও কৃষক) ও শূদ্র (তুরানি দ্রাবিড় মজদুর বা শ্রমিক), যার প্রথম দুটি ছিল আর্য উচু শ্রেণী ও শেষ দুটি ছিল দ্রাবিড় নিচু শ্রেণী। আজমির মতে, এদের মধ্যে শূদ্ররা আর্যদের কাছে প্রবল নির্যাতন ও অসম্মানের পাত্র হওয়ার ফলে বিংশ শতাব্দীর দিকে তারা ব্যাপকহারে ধর্মান্তরিত হয় এবং একটি বড় সংখ্যার জনগোষ্ঠী ইসলাম গ্রহণ করে, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়, যাদের ইসলাম ধর্মে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরের বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হতে প্রাপ্ত বহুসংখ্যক তথ্যসূত্র আজমি উল্লেখ করেন। এরপর হিন্দুগণ গ্রন্থ রচনা মনোনিবেশ করে যা পাঁচটি যুগে বিভক্ত ছিল। যথাক্রমেঃ[১৯]

  1. প্রথম যুগে চারটি বেদ রচনা করা হয়।
  2. দ্বিতীয় যুগে হিন্দু দার্শনিক গণ উপনিষদ রচনা করেন, উপনিষদসমূহে সুফিবাদ তথা তাসাউফের প্রাথমিক ধারণাগুলো সন্নিবেশ করা হয়, যার সাথে সম্পৃক্ত ছিল মনসুর হাল্লাজ, ইবনে আরাবী ও সারমাদ কাশানি, যারা নির্বাণওমের সাথে মিলিয়ে ওয়াহদাতুল ওজুদ রচনা করে, এছাড়াও ইবনে হাবিত, আহমদ ইবনে নামুস, আবু মুসলিম খোরাসানিমুহাম্মদ ইবনে জাকারিয়া রাজি হিন্দুধর্মে বর্ণিত পুনর্জন্মের ধারণা ইসলামের নামে প্রচার করেন। এছাড়াও এ সময় ভারতের সম্রাট জালাল উদ্দিন আকবরের শাসনামলে আল্লাহ উপনিষদ নামে একটি উপনিষদ রচনা করা হয়, যেখানে ইসলামে স্রষ্টার ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  3. তৃতীয় যুগে ধর্মীয় রীতি নীতির সংকলন প্রস্তুত করা হয়। এসময় স্মৃতি গ্রন্থ সমূহ লেখা হয়, যার মধ্যে মনুস্মৃতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
  4. চতুর্থ যুগে ভারত বর্ষের অধিবাসীদের সঙ্গে আর্যদের সংমিশ্রণের ফলে আর্য দেবতারা হারিয়ে যেতে থাকে। আর্যরা ইন্দ্রকে বজ্রের দেবতা, অগ্নিকে আগুনের দেবতা, অরুণকে আকাশের দেবতা এবং ঊষাকে সকালে দেবতা হিসেবে উপাসনা করত। কিন্তু পরে বিষ্ণু প্রতিপালনের দেবতা ও শিব ধ্বংসের দেবতা হিসেবে এসবের স্থান দখল করে এবং এসব দেবতার গুণকীর্তন করে পুরাণ গ্রন্থসমূহ রচনা করা হয়। গ্রন্থগুলোর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টির উপাখ্যান, পুনরুত্থান ও দুই মনুর মধ্যকার কাল তথা সৃষ্টিজগতের দুই ধ্বংসের মধ্যবর্তী সময়ের বিবরণ দেয়া হয়েছে হিন্দু বিশ্বাস মতে এই মহাবিশ্ব অবিনশ্বর। অসংখ্যবার এর বিনাশ হয়ে আবার তা নতুনভাবে সৃষ্টি হয়।
  5. পঞ্চম যুগে যুদ্ধবিগ্রহের বিবরণ সম্বলিত মহাভারত, গীতারামায়ণ রচনা করা হয় যেগুলোতে আর্য নেতাদের যুদ্ধবিগ্রহের আলোচনা এবং যুদ্ধে তাদের অর্জিত বিজয়ের বিবরণ তুলে ধরা হয়।[১৯]

এছাড়াও হিন্দু ধর্মগ্রন্থ সমূহে ইসলামী নবী মুহাম্মাদের আগমনের কথাসহ বিভিন্ন ইসলামী সুসংবাদসমূহের যে বর্ণনা আছে বলে প্রচলিত আছে, সে ব্যাপারে আজমী বলেন, মুসলিমদের সর্বসম্মত মতানুসারে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ সমূহ আসমানী কিতাব না হলেও হতে পারে যে, আর্যরা নিজেদের আদিভূমি ত্যাগ করার সময় ইরাকে ঈব্রাহিম নবীর ধর্মের আবির্ভাব ঘটে এবং তখন আর্যরা এই অঞ্চল পাড়ি দেওয়ার সময় তাওরাত ও ইব্রাহিমের সহিফাসমূহ হতে এসব গ্রহণ করে, অথবা হিন্দুরা তাদের গ্রন্থ পরিমার্জনের সময়, ইসলামী শাসনামলে মুসলিম শাসকদের সন্তুষ্ট করতে এগুলো প্রবিষ্ট করে, দ্বিতীয় মতটির ব্যাপারে আজমি তার অধিক সমর্থন দাবি করেন।[১৯]

আজমী হিন্দুধর্মের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন,


আজমী ইসলাম সম্পর্কে হিন্দুদের নেতিবাচক ধারণার কারণ হিসেবে বলেন,


ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে হিন্দু দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারী তার "ইসলামী ধর্মতত্ত্বঃ এবার ঘরে ফেরার পালা" নামক বইতে ভারতবর্ষের মুসলিমদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত মুসলিম বলে আখ্যায়িত করেন এবং তাদেরকে নিজেদের আদি ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার আহবান জানান।[২০] তিনি বলেন, হিন্দু শব্দটি ধর্মের চেয়েও বিস্তৃত পরিসরে ভারতবর্ষের ভৌগলিক জাতীয়তাবাদকে বোঝায়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন,


রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:আরও দেখুন ইসলাম ধর্ম রক্ষার্থে নবী মুহাম্মদ এবং তার অনুসারীদের অর্থাৎ সাহাবীদের অনেক সংঘর্ষ তথা যুদ্ধ করতে হয়েছে।

তথাপি হিন্দুধর্মে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কুরুক্ষেত্র-এর মতো মহাযুদ্ধ করতে হয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে যা বলেছেন:

৭১১ খৃস্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাসিম সর্বপ্রথম রাজা দাহিরকে পরাজিত করে ভারতবর্ষ জয় করেন।

হিন্দুধর্ম ও ইসলামধর্মের সমাজ-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

শহরগুলোতে বৃদ্ধির হার[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:মূল ভারত প্রধানত হিন্দু ধর্মপ্রধান দেশ হলেও বিভিন্ন শহরে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নে ১.৩% (দিল্লি) থেকে সর্বোচ্চ ১০% (ভুপাল) পর্যন্ত রয়েছে| পাশাপাশি এক লক্ষের অধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট বেশ কিছু শহর রয়েছে যেখান ৫% বেশি মুসলিম বসবাস করে।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে আরব বিশ্বে হিন্দুধর্মের সন্ধান পাওয়া যায়, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় প্রবাসী পারস্য উপসাগরের আরব রাজ্যগুলিতে বসবাস এবং কাজ করে। তাদের অনেকেই হিন্দু। এজন্য বাহরাইন , সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন এবং ওমানে হিন্দু মন্দির নির্মিত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংস্কৃতি অনুসারে[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

সঙ্গীত[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

ইসলামিক এবং হিন্দু থিমের সাথে সঙ্গীতের সমন্বয়ে সহযোগিতার উদাহরণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম মূলধারার বাংলা লোকসংগীতের জন্য অনেক ইসলামী ভক্তিমূলক গান রচনা করেছেন। তিনি শ্যামা সঙ্গীত, দুর্গা বন্দনা, সরস্বতী বন্দনা, ভজন ও কীর্তন রচনা করে হিন্দু ভক্তিমূলক সঙ্গীতেরও অন্বেষণ করেন, প্রায়শই ইসলামী ও হিন্দু মূল্যবোধকে একত্রিত করে। নজরুলের কবিতা ও গান ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের দর্শনকে অন্বেষণ করে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:প্রবেশদ্বার

টেমপ্লেট:-

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা | উৎস সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Islam topics

  1. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  2. Jeffrey Brodd (2003), World Religions: A Voyage of Discovery, Saint Mary's Press, টেমপ্লেট:আইএসবিএন, page 43
  3. Christopher John Fuller (2004), The Camphor Flame: Popular Hinduism and Society in India, Princeton University Press, টেমপ্লেট:আইএসবিএন, pages 30-31, Quote: "Crucial in Hindu polytheism is the relationship between the deities and humanity. Unlike Jewish, Christian and Islamic monotheism, predicated on the otherness of God and either his total separation from man and his singular incarnation, Hinduism postulates no absolute distinction between deities and human beings. The idea that all deities are truly one is, moreover, easily extended to proclaim that all human beings are in reality also forms of one supreme deity - Brahman, the Absolute of philosophical Hinduism. In practice, this abstract monist doctrine rarely belongs to an ordinary Hindu's statements, but examples of permeability between the divine and human can be easily found in popular Hinduism in many unremarkable contexts".
  4. ৪.০ ৪.১ ৪.২ Jeaneane D Fowler (2012), The Bhagavad Gita, Sussex Academic Press, টেমপ্লেট:আইএসবিএন, pages 253-262
  5. ৫.০ ৫.১ Christopher K Chapple (2010), The Bhagavad Gita: Twenty-fifth–Anniversary Edition, State University of New York Press, টেমপ্লেট:আইএসবিএন, pages 610-629
  6. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  7. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  8. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  9. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  10. Neal Robinson (2013), Islam: A Concise Introduction, Routledge, টেমপ্লেট:আইএসবিএন, Chapter 7
  11. For kāma, artha, and dharma as "brahmanic householder values", see Flood (1996:17). Cf. also Apte (1965:626); Hopkins (1971:78)
  12. Quran 2:173
  13. ১৩.০ ১৩.১ ১৩.২ ১৩.৩ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  14. Malika Mohammada The Foundations of the Composite Culture in India Aakar Books 2007 টেমপ্লেট:ISBN page 141
  15. স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: "উদ্ধৃতি" নামক কোনো মডিউল নেই।
  16. Clinton Bennett, Charles M. Ramsey South Asian Sufis: Devotion, Deviation, and Destiny A&C Black টেমপ্লেট:ISBN page 23
  17. টেমপ্লেট:Cite book
  18. ১৮.০ ১৮.১ টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি
  19. ১৯.০ ১৯.১ ১৯.২ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; A নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  20. টেমপ্লেট:বই উদ্ধৃতি